পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ifs Ve শুকাইয়া গেল বেশী। আবার কিছুক্ষণ এখন তাহার কারো মুখের দিকে চোখ তুলিয়া চাহিবার ক্ষমতা হইবে না। পশুপতি গলা সাফ করিল। বলিল, ঠিক যে মারে তা নয়, তবে ওরা ৰ্যবহারটা ভাল করছে না। বড় বোন রেণু বলিল, বিয়ের পর সেই যে নিয়ে গেল মেয়েটাকে, এ পর্যন্ত আর একবারও পাঠায় নি। মহী দুবার আনতে গেছলো । মহীপতি বলিল, “আমার সঙ্গে একবার দেখা করতেও দেয় নি। বললে-” রাজেন্দ্রনাথ কঁপা গলায় বলিলেন, আহা, থাক না ও সব কথা, বাড়িতে ঢুকতেনা-ঢুকতে ওকে ও-সব শোনাবার দরকার কি ! ও ত আর পালিয়ে যাবে না ! খানিকক্ষণ সকলে চুপ করিয়া রহিল। বাহিরে বাদল মাঝখানে একটু কমিয়াছিল, এখন আবার আরও জোরের সঙ্গে বর্ষণ শুরু হইয়াছে। ঘরের মধ্যে এখন ভিজা বাতাসের গাঢ়তম স্পর্শ মেলে। রমা এবারও ঘরে আসে নাই, এবারও সে নিজেকে আড়াল করিয়া রাখিয়াছে-পাশের ঘরের দরজার ওদিকে । তবে এবার আর সে দাড়াইয়া নাই, মেঝেতে বসিয়াছে। একতলার রান্নাঘর হইতে ডাল সম্বরার গন্ধ ভিজা বাতাসকে আশ্রয় করিয়া আসিয়া এঘরে জমা হইয়াছে, রেণুর বড় মেয়ে শৌখিন সুহাসের অঙ্গ হইতে এসেন্সের যে গন্ধ এতক্ষণ পাওয়া যাইতেছিল তাও ঢাকিয়া গিয়াছে। পিসীমা কয়েক মিনিটের জন্য ঠাকুরঘরে গিয়াছিলেন, প্ৰসাদ ও প্ৰসাদী ফুলের রেকবি হাতে তিনি এই সময় ফিরিয়া আসিলেন। সকলের আগে গণপতিকে বলিলেন, জুতো থেকে পা-টা খোল ত बांदों । জুতার স্পর্শ ত্যাগ করিয়া গণপতি পবিত্র হইলে, পিসীমা প্ৰসাদী ফুল লইয়া তাহার কপালে ঠেকাইলেন, তারপর হাতে দিলেন প্ৰসাদ এবং আজও আধামমতা আধা-ধমকের সুরে তঁহার চিরন্তন অনুযোগটা শুনাইয়া দিলেন-ঠাকুরদেবতা কিছু ত মানবি নে, শুধু অনাচার করে বেড়াবি। এঘরে কেহ কিছু বলিল না ; কিন্তু পাশের ঘরের দরজার ওদিক হইতে অস্ফুট कc) coiानi ciल, भांश। ! পিসীমা চমকাইয়া বলিলেন, কে গো ওখানে, বৌমা ? পরিমল জিজ্ঞাসা করিল,-কি হল রে, রমা ? রামার আর কোন সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। পরিমলের কোলের ছেলেটি r to V-fitfits wo