পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VM) কঁাসি মেঝেতে হামা দিতে দিতে নাগালের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছিল, গণপতি হাত বাডাইয়া তাকে কোলে তুলিয়া লইল-ওকে আদর করিবার ছলে মাথা হেঁট করিয়া থাকা সহজ। রাজেন্দ্ৰনাথ কঁপা গলায় বলিলেন, দ্ব্যাখ্য' ত সুহাস, মেজ८दोभांद्र केि श्ल ? हेि-हेि श्ल नांकि ? পরিমল বলিল, তুই বোস আমি দেখছি। উঠিয়া গিয়া নিচুগলায় রমাকে কি যেন জিজ্ঞাসা-বাদ করিয়া সে ফিরিয়া আসিল ; বলিল, না, কিছু হয় নি। --কিছু না । একেবারেই কিছু হয় নাই। কি হইবে ওই পাথরের মত শক্ত মেয়েমানুষটার ? এই যে এতকাল গণপতি জেলখানায় আটক ছিল, ফঁাসিএড়ানোর ভরসা কয়েকদিন আগেও তাহার ছিল না-রমা কি একদিন আবেগে ভাঙিয়া পডিয়ছিল, কঁাপিতে কঁাপিতে কঁাদিতে কঁাদিতে ননন্দ, জা কারো বুকে একবার আশ্রয় খুজিয়াছিল, কারোকে টের পাইতে দিয়াছিল—তার কিছুমাত্র সাস্তুনার প্রয়োজন আছে ? একথা সত্য যে, যেদিন হইতে গণপতিকে পুলিসে ধরিয়াছিল, সেদিন হইতে সে হাসিতে ভুলিয়া গিযাছে, দিনের-পব-দিন কথা কমাইয়া প্ৰায় বোবা হইয়া গিয়াছে, রোগ হইতে হইতে সোনার বরণ তাহার হইয়া গিয়াছে কালি ! তা, সেটা আব্ব এমন কি বেশী ! দুঃখের ভাগ ত সে দেয় নাই, সাস্তুনা ত নেয় নাই, লুটাইয়া বুকফাটা কান্না ত কঁাদে নাই! একদিন বুঝি কঁাদিয়াছিল। শুধু একদিন! গভীর রাত্রে বাড়ির সকলে তখন ঘুমাইয়া পড়িয়াছো-সুহাস ছাড়া। সেদিন সুহাসের বর আসিয়াছিল, তাই বর-বউ দুজনেরই হইয়াছিল অনিদ্রা-রোগ। অত রাত্রে ঘর ছাড়িয়া বাহির হইয়া দুজনে হাত ধরাধরি করিয়া রামার ঘরের সামনে দিয়া তাদের কোথায় যাওয়ার প্রয়োজন হইয়াছিল-সে কথা বলা মিছে। নিজের ঘরে বামা একা থাকিত, এখনো তাই থাকে। অনেক বলিয়া-অনেক বকিয়াও তাকে কারো সঙ্গে শুইতে রাজী করা যায় নাই। এমন কি শ্বশুরের অনুরোধেও না। যাই হোক, রমার ঘরের সামনে সুহাস থমকিয়া দাড়াইয়াছিল। কান পাতিয়া ঘরের মধ্যে বিশ্ৰী একটা গোঙানির আওয়াজ শুনিয়া ভয়ে বেচারীর স্বামী-সোহাগে তাতানো দেহটা হইয়া গিয়াছিল। হিম । বরকে ঘরে পাঠাইয়া, তারপর সে ডাকিয়া তুলিয়াছিল পরিমলকে ; বলিয়াছিল, বড়মামী, ঘরের মধ্যে মেজমামী গোঙাচ্ছে, শীগগির এসো। o atfir ragtatag o