পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wr o རྫ་སེ་གང་བ། আপন মনে সবাই কাজ করছে, কেউ কিছু জানে না, হঠাৎ হুড়মুড় ক’রে ছাদ ভেঙে সাতজনের কবর হয়ে গেল, পনরো জন জখম হল । ভাবলে গা শিউরে ওঠে ।” বলিয়া প্ৰসন্ন উপরের দিকে তাকাইল। এ বাড়ির কড়ি-বরগা, সমস্তই লোহার। ছাদ ভাঙিবার সম্ভাবনা তেমন নাই। সে মৃদু মৃদু হাসিল । ভাবিল, খবরের কাগজের খবরগুলিও ওষুধের বিজ্ঞাপনের মত এমন হিপূনটিক ! ক্টোভদুর্ঘটনার বিবরণ পড়া অবধি আজকাল সে কত ভয়ে ভয়ে ষ্টোভ জালায়, মাকে জালাইতে দেয় না, চাকরকেও না । চাকরি পিতৃবন্ধুর কল্যাণে। পিতৃবন্ধু আপিসের বডবাবু। ব্যবহার দেখিয়া মনে হয়। প্ৰসন্নকে তিনি ভালবাসেন । দোষ করিলে ধমকান না, মাঝে মাঝে ডাকিয়া উপদেশাদি দেন এবং কামানো চিবুকে হাত বুলাইতে বুলাইতে কি যেন veto ঠিক যেন ভাবেন না, দুশ্চিন্তা করেন। সুতরাং অল্পকালের মধ্যে প্ৰসন্নার প্রমোশন হইল । সবদিক দিয়াই সে উপরে উঠিল, তাহার মাহিনী যেমন বাড়িল সত্তর হইতে আশী টাকায়, তাহাকে কাজ করিতে হইল একতলা হইতে একেবারে চারতলায় উঠিয়া গিয়া। বড়বাবুর পক্ষপাত-ভয়া দরদ প্ৰসন্নকে এমন বিচলিত করিল বলিবার নয় । বডবাবু ডাকিয়া বলিলেন, “তোমার বয়স কত হল হে প্ৰসন্ন ? “আজেজ্ঞ, সাতাশ ।” ‘বল কি, সাতাশ ! বিয়েটিয়ে ক’রে এবার সংসারী হও ? না, ও-সব ইচ্ছে নেই ?” ॐनम्र c5ांथ नांक्षेध दक्लिब्ज, ‘ड्यां८ङ गांभांन्या ड्रांश-? বডবাবু কথাটা হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন। তিনি যখন বিবাহ করেন তাহার এক পয়সা আয় ছিল না । স্ত্রী কি তাহার খাইতে পায় নাই ? প্ৰসন্ন আশী টাকা বেতন পায়, দেশে বাড়িঘর জমি-জায়গা আছে, বিবাহ করিতে হইলে কি রাজা হইতে হয় নাকি ? তারপর “আমি যদিন এখানে বড়বাবু আছি, মাইনে বাড়ার ভাবনাটা তোমার ভাবতে হবে না বাপু” বলিয়া বড়বাবু হাসিলেন। এত শুধু চুম্বক, কথা। তিনি কম বলেন নাই। দুর্ভাবনায় ঘামে হাতের তেলো o säi kuivyt: o