পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকম্প 制姆 করিয়াছে। একটা ছোটখাটাে ঘর, মেঝে আছে, দেয়াল আছে, ছাদ আছে, তার মধ্যে মিনিটখানেক বন্দী থাকিয়া সেঁা করিয়া উপরে ওঠা নিচে নামা কি রোমাঞ্চকর রোমান্স ! আজি সে সিড়ি দিয়াই নিচে নামিল। লিফটের মোহ আজ তাহার নাই। যার এমন বিপদ ঘটিতে বসিয়াছে অত শখে তাহার কাজ কি ? জীবনে সহসা যে সমস্যা দেখা দিয়াছে এখন গভীরভাবে সে বিষয়ে চিন্তা করিয়া দেখা দরকার। মেয়েটাকে আর একবার দেখিতে পারিলে ভাল হইত। একবার মাত্ৰ দেখিয়া ওকে যেন বেশী রহস্যময়ী মনে হইতেছে। BBBSBDBBD DD DD DBDBBDB BB DuBDSDD BBDB DBB DDD DDDD DDD দেখিয়া ও-মেয়েকে বিবাহ করা বোধ হয় সুবিবেচনার কাজ হুইবে না। অন্যমনে বাসে উঠতে গিয়া প্ৰসন্ন পড়িতে পড়িতে অল্পের জন্য বঁচিয়া গেল। ভিতরে বসিয়া লজ্জায় সে কাহারও দিকে চাহিতে পারিল না। অপরাধ। সে কাহারও কাছে করে নাই, কিন্তু সেজন্য শাস্তি আটকায় না, এমনি মন্দ তার কপাল। রাত্রে ঘুমাইতে সে যে কষ্টটা পাইল তাহার তুলনা হয় না। বড়বাবুর মেয়েটি যেন কড়া নেশা, তাহার কল্পনা সেই নেশারই অবসাদ, নিস্তেজ অথচ নির্মম ; তাহার বেশ ঘুম আসিতে থাকে, শৃঙ্খলা নষ্ট হইয়া চিন্তাগুলি পরস্পরের সঙ্গে জন্ট পাকাইয়া যায়, ঘুমাইয়া পড়িতে আর বিলম্ব নাই,-সহসা সে পূর্ণমাত্রায় জাগরিত হইয়া ওঠে। জাগরণ এমন আকস্মিক হয়, যেন চমক লাগে। সার্কাসের তাঁবুতে পাঁচ ছয়টা উঁচু দোলনার একটা ছাড়িয়া আর একটা ধরিয়া দুলিবার কসরত করিতে করিতে এ কি ঘুম ভাঙা । এমনিভাবে তাহার রাত্ৰি প্ৰভাত হইল। সকালে সে মাকে বলিল, “তাড়াহুড়ো ক’রে রাধবার দরকার নেই মা। আজ আপিস যাব না।” মা কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। প্ৰসন্ন বলিল, “রাত্রে তাহার জর আসিয়াছিল।” মা চিন্তিত হইয়া বলিলেন, “ওষুধপত্তর কিছু খা বাবা তুই। বড় খারাপ হয়ে *Csz (vö3 C5kt: ” প্ৰসন্ন মৃদু হাসিয়া বলিল, ওষুধপত্রের ব্যবস্থাই হচ্ছে মা।” বিবাহের প্রক্রিয়াটা প্ৰসন্ন সাহসী পুরুষের মতই সহ্য করিল। বিশেষ কঠিন নয়, কারণ নিজের তাহার কিছুই করিবার নাই, যাহা দরকার অন্যে করাইয়া লয়। তাহার ভয় ছিল বাসরে। একগাদা মেয়ে যখন তাহাকে ছাকিয়া ধরিবে, হাল-ভাঙা নৌকার মত টলমল করিলে চলিবে না, নিজেকেই তাহার ow-f(ifts wo