পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किकि ክዖዓ বসে । ব’সে চারিদিকে তাকায়, বিশ্বাস-অবিশ্বাস শ্রদ্ধা-অশ্ৰদ্ধা আশা-নিয়াশার ভারে বিব্রত চোরের মত। যা চোখে পড়ে। তাই মনকে নাড়া দেয়, দেয়ালের টিকটিকি পৰ্যন্ত। সন্তা মেয়েমানুষ যেন সমস্ত পরপুরুষের দৃষ্টি নিয়ে নিজের সমালোচনা করছে, আমার কি উপায় হবে ? আসলে, এ ছাড়া প্রশ্নও নেই জগতে। সব কিছুতে এই সমস্তার ছাপ মারা। ভবিষ্যৎ কি সব কিছুকে গ্ৰাস ক’রে নেই ? জ্যোতিষার্ণবের কপালে চন্দনের ফোটা দেবার সময় তার ছেলেমেয়ের মা মাথা কাত করে, চোখ উন্টে দেয়, মোটা আলগা ঠোঁট দুটিকে টান করে হাসে। জ্যোতিষার্ণবের অপরাধ, সাত বছর আগে এই ভঙ্গী তাকে ভুলিয়েছিল। তবে, কেবল ভঙ্গী নয়। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাও করে, “আমি মরলে তোমার কি উপায় হবে ? জিজ্ঞাসা করে সকালবেলা আর মরে যায় সেই সন্ধ্যার কাছাকাছি সময়ে, তবু মনে হয় প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা করেই যেন সে মরে গেল। অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ যার নখদর্পণে, সেও বুঝতে পারে না ব্যাপারখানা কি। তার ছেলেমেয়ের মা মরণের কথা বলবে মনে করার আগেই মাথার উপর কড়িকাঠে যে টিকটিকিটার লেজ নড়তে আরম্ভ করেছিল, তার ছেলেমেয়ের মা মরণের কথা বলার পরে সেই টিকটিকিটাই যে আরেকটা টিকটিকিকে তার ছেলেমেয়ের মা হতে ডেকেছে, এইটুকু কেবল জ্যোতিষার্ণব জানে না। কিন্তু তাতে কি এসে যায় ? আর সব তা তার জানা আছে, যা কিছু মানুষের জানা দরকার। ওই জ্ঞানটুকু লাভ করলেই কি তার মনের এ ধাধা মিটে যেত যে, তার ছেলেমেয়ের মা মারবে বলে টিকটিকিটা ডেকেছিল, অথবা টিকটিকিটা ডেকেছিল বলেই তার ছেলেমেয়ের মা মরে গেছে ? ছেলেমেয়েরা ছোট। বড় ছেলেটি প্ৰথমভাগের বানান শেখে, ছোট ছেলেটি শেখে কথা বলতে। এদের মাঝখানেরটি মেয়ে, বোবা ব’লে সে কথা বলতে শেখেনি। মার সম্বন্ধে তাই প্রশ্ন করে শুধু বড় ছেলেটি। 'भ cकांथांश cशंtळू दांब ? “স্বৰ্গে ।।’’ ব’লে প্রমাণের জন্য জ্যোতিষার্ণব কান পেতে থাকে। টিকটিকি বাড়িতে আট দশটার কম নয়, কিন্তু একটাও জ্যোতিষার্ণবের কথায় সায় দেয় না । নিজের o V-ffasis ou o