পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in অতসী মামি S (s মুক্তিও বটে, বাঁচাও বটে ! দুটোর একটার চিহ্নও অশোক খুঁজে পেল না। বাঁধন খসেছে মনে করতেই বাঁধনে টান পড়ল। যা নেই বলে জানল, তারই টানে টানে পাকে পাকে হৃদয় ভেঙে পড়তে চায় দেখে অশোক চমকে গেল । অশোক দেখে অবাক হয়ে গেল, নেকিকে সে যেভাবে ভাবতে চায় নেকি সেভাবে ধরা দেয় না। মনে হয়, তার বিতৃষ্ণা যেন তার চোখের সামনে কুয়াশা রচনা করে দিয়েছে, সেই কুয়াশাবি ভেতর দিয়ে নেকিকে সে নিম্প্রভ দেখছে কিন্তু কুয়াশার ওদিকে নেকি তেমনি উজ্জ্বল হয়েই আছে। অশোক ধরতে পারে না, কিন্তু তার মনে হয় কোথায় যেন ভুল হয়েছে। খোঁজে। হদিস [[[ନୀ ଜର୍ଜ୍ୟ ।

  • রাত্রে খাওয়া-দাওয়ার পব বিছানায় শূন্যে অন্ধকারে সে আগাগোড়া একবার ভেবে নিল। হঠাৎ ভুলটা ধবা পড়ে গেল।

চক্রবর্তী! তুদয় চক্রবর্তী ! ঠিক। অশোক ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসল। মুর্থ, মুৰ্থ! নিতান্ত মুখ সে। সবটুকুই যে হৃদয় চক্রবর্তীর খেলা এটুকু বুঝবাব ক্ষমতাও তাব নেই! মামা আদেশ করলে তার কথা নেকি কেমন করে অস্বীকাব কলবে? আজ এক মাস যাব সঙ্গে পরিচয়, যার চরিত্রের এতটুকু অংশ তার কাছে গোপন নেই, তাকে কী করে এতখানি লীন বলে সে মনে করল ? নেকির তো বিন্দুমাত্র অপরাধ নেই! অশোকের বুক থেকে মস্ত একটা ভাব নেমে গেল। বন্ধনেল যে দড়িদডাগুলো এতক্ষণ বেদনা দিচ্ছিল হঠাৎ সেগুলো হযে, গেল ফুলের মালা। খুব ভোবে ঘুম ভাঙতেই অশোক আমবাগানে চলে গেল। পুকুরধারে ঘাটেব। কাছে একটা তালগাছ কাত হযে পড়েছিল, তাব গুড়ির ওপর বসে সবু বঁকা পথটিব দিকে চেয়ে রইল। একগোছা বাসন হাতে নিয়ে ঝোপ ঘুবে পুকুবের তীরে এসে অশোকের দিকে নজব পড়তেই নেকি থমকে দাডিযে পডল। একরাত্রে তাব ওপর দিয়ে ঝড় বযে গেছে। চোখ লাল, চোখেব কোলে কালি। কাল বিকালে অতি যত্নে কবরী রচনা করেছিল, কাব্য জনো---বুঝি কাল অশোকোব খুশির সীমা থাকেনি। আজ সে কবরী বিশৃঙ্খল হয়ে গেছে। অশোকেৰ বুক টনটন করে উঠল। কাছে এসে বললে, লীলা, আমায় মাপ করে। নেকিবা সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠল। জবাব দিতে পাবল না। অশোক আবাব বললে, আমি বুঝতে পারিনি। লীলা। তোমাব কোনো দোষ ছিল না। छ्नि न्| ? অশোক ভুল কবলে, বললে, না। আমি জানি তোমার মামাব জনোই--- আপনাব পাযে পড়ি অশোকবাবু, যে নীচ, ভগবানের দেওয়া বুপকে যে ঘুষেব মতো ব্যবহাব কবে, দয়া করে তাকে নীচেই থাকতে দিন। বলে নেকি অগ্রসর হল, পথ ছাড়ন । অশোক পথ ছেড়ে দিল। তার অস্বাভাবিক বিবৰ্ণ মুখের দিকে চেয়ে দাঁত দিয়ে ঠোট কামডে ধরে নেকি ঘাটে নেমে গেল। পরদিন অশোক কলকাতা রওনা হল। মাস তিনেক পরের কথা। সকালে মার কাছ থেকে অশোক একখানা চিঠি পেলে। মা লিখেছেন, মাসখানেক ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন, খুব সম্ভব ম্যালেরিয়া ধরেছে। ডাক্তার চেঞ্জে যেতে বলেছেন, বাঁচি যাওয়া ঠিক হয়েছে।