পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in অতসী মামি ܓ Qܘt পটলি দোতলায় শূইয়া ছিল, অত্যন্ত ধীবপদে সে নীচে নামিয়া আসিল। কাছে আসিয়া অভিমান করিয়া বুলিল, দাদা এল, আমায় কেউ ডাকল না। মাসি ঘ্যানঘ্যান কবিয বলিলেন, ডাকতে হবে কেন ? তুই ঘুমোচ্ছিলি নাকি ? একটুখানি মাথা হেলাই যা পটলি বলিল, ঘুমোচ্ছিলাম তো। দয়া করে আমায় ডাকলে অপবাধ 安5? মুকুল অবাব বিস্মিত হইয়াছে। এ যেন সে পটাল নয়, আর কেউ। ইহার পিঠে তখন সাপের মতো বেণি দুলিত, দুই হাতে বুকেব। কাছে বই ধরিয়া স্কুলে পডিতে যাইত। বেতস-লতার মতো। ওর * চেহারা ছিল বোপা লিকলিকে, হাঁটিবার পরিবর্তে সারা বাডি ও ছিটকাইয়া বেড়াইত, কোথাব্য যে ওব শেমিজের কঁপি নামিত আর কোথায় যে লুটাইত, আচল তার ঠিকানা ছিল না। আব আজ ও চুলের পাতা কাটিয়াছে, চলিবাব সময় পা ফেলিয়া পা তুলিতে ওরা যেন কষ্ট, মুখটা পর্যন্ত ঢাকিতে পারিলে ওরা যেন আজ ভালো মতো লজ্জা নিবারণ হয়। মুখে কথা আছে কিন্তু গলায় ওর শব্দ নাই। অতুলের মতো এও মুখের দিকে তাকায় না। দাদাকে দেখিয়া আনন্দ ওর কতখানি হইযাছে ওই জানে কিন্তু দদিন আসিতে কেহ ডাকে নাই বলিয়া অভিমান হইযাছে প্রচুর। সেই অবশ্য এ অভিমানেৰ উপলক্ষ কিন্তু অভিমানেৰ আধারটিতে তার স্থান যে কতখানি মুকুল তাহা ভাবিয়া পাইল না। সে বাড়িতে পা দেওমা মাত্ৰ সকলেব আগে ওকে ডাকা হইলে ও দাদাব সম্মান রাখিত কী দিয়া ?-- অভিমান কবিবার উপায় যখন থাকিত না ? পুতুলখেলা ছাডিয্য কয়েক বৎসর যাবৎ ও ছেলেখেলা কবিতেছে, একদা যে ভাঙা পুতুলের শোকে চোখে জল আসিলে চোখ মুছাইত আর ক্ৰমাগত পুতুল কিনিষা দিত, অত কষ্টে জমানো তিন হাজার টাকা দিয়া যে, ওব ছেলেখেলাব মানুষটি যোগাড় কবিয়া দিযাছে, তার কথা মনে কবিবাব অবসব হত্যতে ও পায় নাই। দাদা যে বিদেশে। --সেটুকু ভালো কবিয টেব পাইবার সুযোগ হয়তো ওব ছিল না। তেবে পোকা কঠবো পটলি ? पृभू02। দুই চোখে আনন্দ ভরিয়া ঔৎসুকোব সহিত সে আবােব বলিল, তুলে আনব? থাক থাকি, জণগলেই দেখিবখন। bita পাটলির আবাল অভিমান হইযাছে। দাদা আসিয়া খোকাকে দেখিবে, কোলে নিবে, আদব কবিবে, এ তাহার অনেক দিনেব। সাধা। এ সাধ মিটিতে দেবি হইবে না, খোকার ঘুম মিনিটে মিনিটে ভাঙে, কিন্তু দাদা যে কতদূব পাব হইয়া গিয়াছে বুঝিতে পারিয়া পাটলির সাধেব আর তেমন জোর রহিল না। বাড়িতে পা দেওয মাত্ৰ সকলেব আগে তার খোকাকে দেখিবার আগ্রহ নাই দাদার! এ তো সে দাদা নয় । এই ধরনের মনোভাব মুখে ছায়াপাত করে। পাটলির মুখ দেখিয়া মুকুল রাগ করিয়া ভাবিল, ঘুমন্ত ছেলেটাকে তুলে আনতে বারণ করলাম। এতে ওর রাগ কববার কী আছে? মাসি বারবার উঃ আঃ শব্দ করিয়াও পায়ের দিকে মুকুলের দৃষ্টি টানিতে না পারিয়া মনে মনে চটিতেছিলেন, পাটলিকে ধমক দিয়া বলিলেন, তুই যেন কেমনতরো মেয়ে পটলি। এদিন পরে বডো ভাইটা এল, একটা পোন্নাম করা ?