পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in 之88 মানিক রচনাসমগ্র সকাল সাতটাব সময বুপাইকুড়ার থানার সামনে হেরম্বের গাড়ি দাঁড়াল। বিসনা পর্যন্ত মোটরে আসতে তাব বিশেষ কষ্ট হয়নি। কিন্তু রাত বারোটা থেকে এখন পর্যন্ত গোরুর গাড়ির ঝাকানিতে সর্বাঙ্গে ব্যথা ধরে গেছে। গাড়ি থেকে নেমে শবীরটাকে টান কবে দাঁড়িয়ে হেরম্ব আরাম বোধ কবলি। এক টিপ নস্য নিযে সে চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগল। পুব আর পশ্চিমে কেবল প্রান্তর আর দিগন্ত। মাঝে মাঝে দুএকটি গ্রামের সবুজ চামড়া বসানো আছে বৈচিত্র্য শুধু এই। উত্তরে কেবল পাহাড়। একটি দুটি নয়, ধোয়াব নৈবেদের মতো অজস্র পাহাড় গামো গায়ে ঘোঁয়ে দাঁড়িযে আছে—অতিক্রম করে যাওযাব সাধ্য চোখেব নেই, আকাশের সঙেগ এমনি নিবিড মিতালি। দক্ষিণে প্ৰায আধমাইল তফগতে একটি গ্রামের ঘনসন্নিবিষ্ট গাছপালা। ও কতকগুলি মাটির ঘর চােখে পড়ে। অনুমান হয় যে, ওটিই বুপাইকুড়া গ্রাম। গ্রামটির ঠিক উপরে আকাশে এখন বৃপাব ছড়াছডি। তবে সেগুলি আসল কৃপা নয়, মেঘ। গাড়ি দাডাতে দেখে থানাব জমাদাব মতিলাল বেরিয়ে এসেছিল। হেবিস্মকে সে-ই সসম্মানে অভ্যর্থনা কবল । একটু অর্থহীন নিরীহ হাসি হেসে বলল, আজ্ঞে না, বাবু নেই। বরাকাপাশিতে কাল একটা খুন। হয়েছে, ভোেব ভেবে ঘোড়ায় চেপে বাবু তার তদারকে গেছেন। ও বেলা ফিরবেন। --ঘবে গিয়ে আপনি বসূন, আমি জিনিসপত্র নামিযে নিচ্ছি। এ কিষাণ! কিযণ! ইধাব আও ৩ো। আপিস ও সিপাহীদের ছোটো ব্যারাকটির মধ্যে গম্ভীব লালিত্যহীন থানাব বাগান। বাগানোব শেষপ্রান্তে দাবোগাবাবুর কোযাটাব। চুনকাম-কবা কঁচা ইটেল দেযাল, তলার দিকটা মেঝে থেকে তিন হাত উচু পর্যন্ত আলকাতরা মাখানো। চাল শণের। এ বছর বর্য নামার আগেই চালেব শণ। সমস্ত বদলে ফেলায় সকালবেলার আলোতে বাড়িটিকে ঝকঝকে দেখাচ্ছে। বাডিবা সামনে চওড়া বারাণদ । ভিতবে যাবাব দরজা পর্দা ফ্যাক করে একটি সুন্দর মুখ উকি দিচ্ছিল। তেবস্ত্ৰ বাবান্দাব সামনে এগিয়া আসতে খসে-পড়া ঘোমটাটি মাথায্য তুলে দেবােব প্রযোজনে মুখখানা এক মুহূর্তের্ব জনা আড়ালে চলে গেল । তবপব পর্দা সবিযে আস্ত মানুষটাই বেবিয়ে এল। বাবান্দায । আগ্রহ ও উত্তেজনা সংযত বেগে সহজ ভাবেই বলল, আসুন রাস্তাফা কন্স হত্যানি ৮ হয়েছিল। এই মুহূর্তে সব ভুলে গেলাম সুপ্রিয়া। আমায় দেখেই ? কোমল হাঁসিতে সুপ্রিয়ার মুখ ভরে গেল, বিশ্বাস করা একটু শক্ত ঠেকছে। যে রাস্তা আর যে গাড়ি, আসবার সময় আমি শুধু কঁদিতে বাকি বেখেছিলাম। পাঁচ বছল যাব খোজ খবর নেওয়াও দরকার মনে করেননি, তাকে দেখে অত কষ্ট কেউ ভুলতে পারে ? আমি পাবি। কষ্ট হলে সাদি সহজে অবহেলাই করতে না পারব। পাঁচ বছর। তবে তোব খোজখবর নিলাম না কেন ? কত সংক্ষেপে কত বড়ো কৈফিয়ত! মেনে নিলাম ভাববেন না। কিন্তু। আপনার সঙ্গে আমার ঢের ঝগড়া আছে। বাইরে দাঁড়িয়ে আর কথা নয়। ভেতরে চলুন। জামা খুলে গা উদলা করে দিন । পাথা নেড়ে আমি একটু হাত ব্যথা করি। স্নান করবেন তো? আপনার জন্যে এক টবী জল তুলে রেখেছি। ইদারা থেকে তোলা। কিনা, বেশ ঠান্ডা জল। স্নান কবে আরাম পাবেন। সুপ্রিয়ার কথা বলার ভঙ্গিটি মনোরম। সকালবেলাই এখন একশো চার ডিগ্রি গরমে মানুষ সন্তপ্ত হয়ে আছে। কিন্তু সুপ্রিয়ার যেন একটি দাৰ্জিলিঙের আবহাওয়ার আবেষ্টনী আছে। এত গরমেও