পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in 8SVo মানিক রচনাসমগ্ৰ নিজেব নামে ভালো লেখা লিখবো, তখন এই গল্পের কথা তুলে লোকে নিন্দে করবে। এই ভেবে বন্ধু ক'জনকে জানিয়ে, গল্পে নাম দিলাম ডাকনাম-মানিক। কল্পনাশক্তি একটা ভালো ছদ্মনােমও খুঁজে পেলো না। বাংলামাসেব মাঝামাঝি। বিচিত্রা আপিসে গিয়ে গল্পটা দিয়ে এলাম। কাব হাতে জানেন ? বন্ধু বব অচিন্তকুমাব সেনগুপ্তেব হাতে । তিনি তখন বিচিত্রায় ছিলেন। আমি অবশ্য তখন চিনতেও পাবিনি—পবিচষা হয়। পবে। তারপব দিন গুণছি। বিশ্বাস ঠিক আছে, তবু ভাবছি কবে গল্পটা পিয়ন ফেরত দিয়ে যায়। একদিন সকালে ভাবছি, কলেজ যাব কি যাব না। একজন ভদ্রলোক বাড়িতে এলেন। তিনি বিচিত্রাল সম্পাদক শ্ৰদ্ধেয উপেন্দ্ৰনাথ গঙেগাপাধ্যায়। আমি অবশ্য চিনতাম না। নিজেই পবিচয় দিলেন। এবং আমাব অতসী মামী’ গল্পের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ নগদ ঢাকা হাতে তুলে দিয়ে দাবী জানালেন, আর একটি গল্প চাই। তাবিপবী সব ওলোটপালট হয়ে গেল। সব ছেডে দিয়ে আরম্ভ কবলাম লেখা। গ্রন্থপ্রকাশের পূর্বে বিভিন্ন গল্পের সাময়িকপত্রে প্রকাশ সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া যায : অতসী মামী বিচিত্র পৌষ ১৩৩৫ নেকী f আষাঢ় ১৩৩৬ বৃহত্তর-মহত্তব fifts মাঘ-ফালুন ১৩৩৬ [দুই কিস্তিতে] মাটিৰ সাকী বঙ্গলক্ষ্মী Siry Svob সপিল ভাবিত বর্ষ। * by পোড়াকপালী প্রবাসী రెf{ లిరిసి আগস্তুক অমৃত (মাসিক) কীর্তিক ১৩৩৯ আত্মহত্যাব অধিকার ভারতবর্ষ CSS SSSR o সাময়িকপত্রে গল্পগুলির প্রকাশের পর গল্পসংগ্রহে অন্তর্ভুক্তিকালে লেখক কিছু কিছু পাঠসংস্কার ঘটিয়েছিলেন। সংস্কারকালে গল্পগুলির শিল্পোৎকর্ষ সাধনই লেখকের অভিপ্রেত ছিল বলে মনে হয অতসী মামী মামাব কাছে যতীনবাবু এবং তাব বঁাশী বাজানোস যে রকম উচ্ছসিত প্রশংসা শুনেছিলাম তাতে মনে হযেছিল। লোকটা নিশ্চয় একজন কেষ্টবিষ্ট গোছের কেউ হবেন। আর কেষ্টবিষ্ট গোছের একজন লোক যে বৈকুণ্ঠ অথবা মধুরার বাজপ্রাসাদ না তোক, অন্তত বেশ বড় আলি ডিসেন্ট লুকিং একটা বাড়ীতে বাস করবেন। এও তো স্বতঃসিদ্ধ কথা। বিচিত্রা, পৌষ ১৩৩৫ মামাব কাছে যতীন কাপুর এবং তার বঁশি বাজানোব যে বকম উচ্ছসিত প্রশংসা শুনেছিলাম তাতে মনে হযেছিল। লোকটা নিশ্চয। একজন কেষ্টপিষ্ট গোছের কেউ হলেন। অব কেষ্টবিষ্ট গোছের একজন লোণযে বৈকুণ্ঠ বা মধুবাব বাজপ্রাসাদ না হোক, অং৩ বেশ পডো আর ভদ্র চেহাবা একটা বাডিতে বাস করেন এও তো স্বতঃসিদ্ধ কথা । মা পচনাসমগ্র ১, পৃ. ১২৯ এই প্রকার সংশোধনী আরও কয়েকস্থানে দেখা যায়। যথা : অসুবিধেটা কি হে, এা ? পাড়ার লোকে তো বয়কট করেছে। বলে অতসী আমার স্ত্রী নয়।. বিচিত্রা, পৌষ ১৩৩৫ যতীন মামা ইংরেজিতে বললেন, 'Tiu i Tu৷ তারপব বাংলায় যোগ দিলেন, কী যে বল ভাগানে { অসুবিধেটা কী হে, আঁধা ? পাড়ার লোকে তো বয়কট করেছে অপবাদ দিয়ে, তুমি থাকলে তবু কিছু কথা কয়ে বঁচিব। আমি বললাম, পাড়াল লোকে কী অপবাদ দিয়েছে মামা ? অতসী মামির দিকে চেয়ে যতীন মামা হাসলেন, বলব নাকি ভাগনেকে কথাটা অতসী, % প্যাডার লোকে কী বলে জানো ভাগনে ? বলে অতসী আমাব বিয়ে-করা বউ নয়।--চোখের পলকে হাঁসি মুছে রাগে যতীন মামা গাবগার করতে লাগলেন, লক্ষ্মীছাড়া বজাত লোক পাড়ার, ভাগনে। রীতিমতো দলিল আছে বিয়ের, কেউ কি তা দেখতে চাইবে? RIO ZIK মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ১৩১