পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in গ্রন্থপরিচয় পত্রিকার পাঠ অনাথ এবং মালতী এদেব মধ্যে কাকে আশ্রয় কবে আনন্দ বড় হয়েছে সঠিক না জানা অবধি স্বস্তি পাওয়া হেবক্ষ্মোব পক্ষে অসম্ভব ছিল, এ জ্ঞান তার কাছে আজ এত বেশী প্রযোজনীয় হয়ে উঠেছিল । আনন্দের অন্তর অঙ্গন্ধকার, এর ক্ষীণতম সংশয়৮িও হেল’সুব সহ্য হচ্ছিল না। মালতীব আদেশেও তাকে প্রণাম কবিতে না চাওয়াব মধ্যে ৩ার প্রতি আনন্দেব যতটুকু অবজ্ঞা প্রকাশ পেল, হেরম্ব সেটুকু তাই tখয়াল কাবাবও সময় পেল না। আনন্দ এখন তাকে যেbে অপমান কবলেও ৩াব বোধ হয় বাগ অথবা দুঃখ হত না। আনন্দের অকাৰণ ছেলেমানুষী ঔদ্ধতো তার দুঃস্বপ্লেব ঘোর কেটে গেছে। ° ጎሳ o এখানে যে বাত্রি আসছে তাকে মাটিব পৃথিবী নিজেব দেহ দিযে সৃষ্টি বিস্তাব তাব চেযেও অনগুগুণে বেশী। বাত্ৰিব অন্ম নষ্ট । ব্যাখ্যা শো- বৈজ্ঞানিক । মধ্যবাত্রিকে অবলম্বন করে কল্পনায় যতদূৰ খুশি চলে যাও, বত্ৰিল। শেষ পাবে না। হযত এক সময় সূৰ্যকে তুমি দেখতে পাবে, পৃথিবীল পাশ কাটিযে সূৰ্য তোমাৰ চােখে তাবাল মত ঝিকমিক কববে। কিন্তু পৃথিবীব এক পিঠে যে আলো ধবা পড়ে দিন হযেছে অসীম শূন্যেপি শেষ পৰ্যন্ত তাব অভাব কোথাও মেটেনি। বত্রি, তাই যে শূন্যের শেষ নেই তাব শেষে পৌঁছেছে। সেখানকাব পািধব তুমি বাখ না। বৈজ্ঞানিক। সেখানে দিক নেই, বাপ্তি নেই, সময নেই, জড় নেই, শক্তি নেই। গোলাকাব শূন্য আব্ব মুখখোলা কাতকবা অঙ্কের চাব ৩াব পবিচয নয়। সেখানে আছে দুটি ছাপ, মাটির পুথিবীব কালো বত্ৰিল ছাপ, মাটির মানুষেবা শেষ কল্পনাব ছাপ। श्रृं ११४ সব। শুধু বাধাবি কাছে জানিনি, মা আমাকে জল দিতে ডাকা পর্যন্ত ওই জ্ঞানালাম দাডিয়ে ম্যাব সঙ্গে আপনাব যত কথা হযেছে সব শুনে ফেলেছি। আপনােক স্ত্রী কতদিন ম্যাবা (ाष्ट्रम १' আনন্দ চোখ তুলল। কিন্তু এখনো সে হেরম্বব দিকে তাকাতে পাবছে না । হেব্বস্ব বলল “আলোক দিন। প্ৰায দেড় বছর। १) १d: ‘আমি ভাবছিলাম এক বছবে পৃথিবীতে বুঝি কোটি কোটি লোক জন্মায়।" চকিত দৃষ্টি সরিযে বুকেবা কাছেব কাপড়কে সে টেনে আলগা করে দিল। সমুদ্র থেকে জোর বাতাস Gov) গ্রন্থ ধূত পাঠ অনাথ এবং মালতী এদের মধ্যে কাকে আশ্ৰয করে আনন্দ বড়ো হয়েছে সঠিক না জানা অবধি স্বস্তি পাওযা হেবম্বের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আনন্দোব অন্তর অন্ধকার, এর ক্ষীণতম ংশযাচিওঁ হেলম্বোেব সহ্য হচ্ছিল না। মালতীব আদেশেব বিবুদ্ধেও তাকে প্ৰণাম কাবাব মধ্যে তার প্রতি আনন্দেব যতটুকু শ্রদ্ধা প্রকাশ পেল, হেব্বস্ব সেটুকু তাই খেযাল কবাবও সময় পেল না। মালতীকে আনন্দ নকল করেনি শুধু এইটুকুই তার কাছে হয়ে বইল প্রধান!! আনন্দেব অকারণ ছেলেমানুষি ঔদ্ধতো তাব দুঃস্বপ্নেবি ঘোব কেটে ር°፻፲፪ | মা বচনাসমগ্র ১, পৃ ২৭৪ এখানে যে রাত্রি আসছে তাকে নিজেব দেহ দিয়ে সৃষ্টি কবছে মাটিব পৃথিবী। পৃথিবী থেকে সূর্য যতদুর, মহাশূন্যে বাত্রির বিস্তাব তাব চেয়েও অনন্তগুণ বেশি। বত্ৰিব অন্ত নেই। মধাবত্ৰিকে অবলম্বন কবে কল্পনায় যতদূর খুশি চলে যাওযা যাক, বালিব শেষ মিলবে না। পুথিবীব এক পিঠে যে আলো ধবা পড়ে দিন হযেছে, অসীম শূন্যোেব শেষ পর্যন্ত তাপ অভাল কোথাও মেটেনি। মা বাচনাসমগ্র ১ , প, ২৭ 8 সব। শুধু বাবাব কাছে জানিনি। মা জল দিতে ডাকা পর্যন্ত ওই জানালায দাডিয়ে মা-ব সঙ্গে আপনাব যত কথা হযেছে সব শূনে ফেলেছি। আনন্দ চোখ তুলল। কিন্তু এখনও সে হেব্বস্বর দিকে তাকাতে পারছে না। শুনে কী মনে হল ? আনন্দ হঠাৎ জবাব দিল না। তারপব সীসংকোচের সঙ্গে বলল, মনে হল খুব নিষ্ঠুরের মতো স্ত্রীব কথা বললেন। আপনাব স্ত্রী কতদিন মারা গেছেন ? হেরম্ব বলল, অনেকদিন। প্রায় দেড়বছর। মা রচনাসমগ্র ১, পৃ ২৭৫ আমি ভাবছিলাম এক বছবে পৃথিবীতে বুঝি কোটি কোটি লোক জন্মায । মা-র কাছে রোজ যে সব. মা রচনাসমগ্র ১, পৃ ২৭৫