পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in (?のbr পত্রিকারী পাঠ অশোক নিৰ্ম্মমভাবে হেসে বললে, “তুমি কি বলতে চাও আমি নিয়মিতভাবে সুইসাইডু কববার চেষ্টা করছিলাম?” ‘আমি কিছুই বলতে চাই না, তুমি চুপ কর।” পৃ ৫৩২ “তোর কথা আমি বিশ্বাস কবি না, সুপ্রিয়া।” অবস্থা অতি সঙ্গীন, তাদের এই বর্তমান অবস্থা। হেরম্ব সাংঘাতিক লোক, যাকে গুণ্ডা বলে প্রায় তাই। সুপ্রিয়া মৃত্যু-প্রার্থিণী। এই ধবনের বৈদ্যুতিক আবহাওয়াতে এক মুহূর্ত বাস কবতে হেবম্ব আজকাল নিজেকে অবশ অসাড় মনে করে। যাকে সামনে পায় তাকেই তার মারতে ইচ্ছা! হয়। কেন তাকে এভাবে পীড়ন করা ? সুপ্রিয়া কোনদিন কলহ কবেনি, আজও করলে না। তার চোখে শুধু জল জল। হেরম্ব একটু নরম হয়ে বললে, “তোকে মিথ্যাবাদী বলিনি, সুপ্রিয়া।” s' এই ‘নাব মানে বোঝা কঠিন নয়। হেবঙ্গ যে মিথ্যাবাদী শব্দটা ব্যবহার কবেনি তা সত্য। ‘আমি শুধু বলছিলাম যে তুই বুঝতে পারিসনি। প্রমাণ কি ?” V “ঝড়-বাদলে খোলা-ছাদে তোকে কাছে পেয়ে হঠাৎ মনের আবেগে----” १ १७१ “টের পীচ্ছ না। বঙ্গশ্ৰী, অগ্রহায়ণ ১৩৪১, পৃ. ৬১৬ আনন্দ চুপ কবে শূন্যে বইল, হাত গুটিয়ে বসে তে বম্ব আকাশ-পাতাল ভাবতে লাগল। YO8, o Meya হেরম্ব তাকে একটু খোঁচা দেবার লোভ সম্ববণ কবতে পারলে না। বললে, “নাও যেতে পারেন, হয়ত কালকেই তিনি ফিরে আসবেন । আনন্দকে মিছামিছি মেরেছেন।” মালতী অল্প একটু গরম হয়ে বললে, “মিছামিছি। ওর বাবার ভাগ্যি কাল ওকে খুন করিনি। কে জানত পেটের মেয়ে এমন শতুর হবে!” দুহাতে ভর দিয়ে পিছনে হেলে মালতী সঙ্গে সঙ্গে একটু নরম হয়ে গেল, “আদেষ্ট দেখেছি, হেরম্ব ? আজ আমার জন্মদিন, জ্বালাতন করব, তাই পালিয়ে গেল।” মালতীর গাল আর চিবুকেব। চামড়া কুঞ্চিত হয়ে আসছিল, রক্তবর্ণ চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল, “একেবারে পাগল হেরন্ম, উন্মাদ ! গেছে যাক, আজ দেখব। মানিক রচনাসমগ্ৰ গ্ৰন্থখুঁত পাঠ অশোক নির্মমভাবে হাসল। বলল, বিবেচনা কবেই। গলা বাড়িয়েছিলাম, কর্তব্যেব। খাতিবে। তুমি যা ভেবেছিলে তা একেবাবেই সত্য নয়। আমি, কিছুই ভাবিনি। ভাবোনি ? তবে যে ডাকত ধরতে গেলেই বলতে জেনেশুনে প্ৰাণটা দিতে যাচ্ছি নিজের, খুন হতে যাচ্ছি সাধ কবে ? আমনি করে অমঙ্গল ডেকে আনতে বলেই তো আঙুল দুটো আমার গেল। সুপ্রিয়া বিবৰ্ণ মুখে বলল, কী সব বলছি তুমি ? চুপ করে । মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩০৯ তোব কথা আমি বিশ্বাস কবি না, সুপ্রিয়া। সুপ্রিয়া কোনোদিন কলহ করেনি, আজও কবল না। তাব চোখে শুধু জল এল। হেবিম্ব একটু নবম হযে বলল, তুই ইচ্ছে করে মিথো বলছিস, তা বলছি না, সুপ্রিয়া। তুই বুঝতে পাবিসনি। আমি কিছুই বুঝতে পারি না। হেরম্ব খানিকক্ষণ স্তব্ধ থেকে বলল, ঝড়-বাদলে খোলা ছাদে তোকে কাছে পেযে হঠাৎ মনোর আলোগে--- মা বাচনাসমগ্র ১, পু ৩১৩ কমেনি, জ্বালা টেব পাচ্ছি না। মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩১৪ আনন্দ চুপ কবে শুয়ে বইল, হাত গুটিয়ে বসে রইল হেবগ। যে কোনো কারণেই হোক, আনন্দকে মালতী যে এমনভাবে মান্বতে পাবে সে যেন ভাবতেই পারছিল না। মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩১৪ হেরম্ব বলল, নাও যেতে পারেন, হয়তো কালকেই তিনি ফিবে আসবেন। আনন্দকে মিছামিছি মেরেছেন। মালতী অল্প একটু গরম হয়ে বলল, মিছামিছি! ওরা বাবাব ভাগ্যি ভালো। ওকে খুনা করিনি। কে জানত পেটে আমার এমন শতুর হবে! হেরম্ব এবার বুঢ়কণ্ঠে বলল, কী শত্ৰুতা করল ভেবে পাই না। টাকা দশটা জোগাড় করে না দিলে কি তঁর যাওয়া হত না? যে যেতে চায় অত সহজে তাকে আটকানো যায় না, মালতী বউদি। মালতী বলল, তুমি ছাই বোঝ। টাকা জোগাড় করে দেওয়ার জন্য নাকি! আমাকে না জানিয়ে ও চুপ কবে রইল