পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in OS 8 মানিক রচনাসমগ্র হাওয়ায়, ওনার, সুন্দর রূপলাভ করেছে। পত্রিকায় ছিল। কিন্তু গ্রন্থে বর্জিত অথবা সংযোজিত এমন কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত হল : পত্রিকার পাঠ {5冈! এমন কড়া কথাগুলি কুসুম বলিল কেন? তার রাগ হইয়া গিয়াছিল। মাত্রা ঠিক রাখিতে পারিল না। আসলে ঝগড়াটা কুসুমের বানানো! কৃত্রিম। অন্তত প্রথম দিকটাতে তাই ছিল। কুসুম এই মতলব করিয়াছিল যে আজ শশীর সঙ্গে একটু ঝগড়া কবিলে কাল তাহার হাতে পায়ে ধরিয়া ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাইবে। এই ধরনের নাটকীয় ব্যাপারগুলিব প্রতি কুসুমের একটি স্বাভাবিক পক্ষপাতিত্ব আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাগের মাথায় শশীকে বাপ তুলিয়া অপমান করিয়া বসিবে এ কি সে জানিত ? শশী সুতরাং মুখ কালো কবিয়া বাড়ি ফিরিল। চৈত্রেব শূকনো খটখাটে ডোবায় বর্ষার জল জমা হইলে কোথা হইতে এইসব জীবনেব আবির্ভাব ঘটে, জগতের কোন বৈজ্ঞানিক তাহা বলিতে পরিবে না। বৈজ্ঞানিকেরা কিই বা বলিতে পারে! চাদ কত দূরে আর ইঞ্জিন কি ভাবে চলে, শুধু এই। গ্রামের লোক, যাহাব! এইসব দুর্বোধ্য বহস্য ঈশ্ববের সাহায্যে এক মিনিটে সরল ও সহজবোধ কবিয়া দিতে পারে, গ্রামেব লোক তাই বিজ্ঞান ও কলকব্জাকে বড় WIKI কিন্তু গ্রামে এবােব কলকন্তুজা আসিল। এই নদী আব খালেব চিাকরি-কািট.. তাহার বহস্যানুভূতিব প্ৰক্ৰিয এই হিসাবে মৌলিক। এ সব অবান্তর কথা নয়। ধারণাতীতকে ধারণা করিবার বিশিষ্ট চেষ্টার ভিতব দিয়া ছাড়া মানুষের মনের চিরন্তন শিশুটিকে জানিবার আর কোন উপায় নাই। এবং এই খোকাটিকে না জানিলে মনের কবিকে, মনের কল্পনাকে, মনের সৃষ্টিছাড়া অবাস্তবতাকে, মনের পাগলামিকে फ़िदि कि दक्षिा ? বড়োলোকই হইয়া গেল! কযেকদিনে. কে জানিত শশীকে যাদব এমন করিয়া বকিতে পারেন? মুখ দেখিলে... চোখে দেখি না বলিয়া, কানে শুনি না বলিয়া ঈশ্বরকে অস্বীকার কবার মত, বোগে ভোগে বলিয়া আর লোকে কঁদে বলিয়া মানুষকে আমরা বলি অসুখী। বলি তাতে দোষ নাই, কিন্তু পরিবর্তন কামনা করি কেন ? মানুষের অস্তিত্ব সত্য : বিষ অথবা অমৃত কি দিয়া জন্ম হইতে মৃত্যু পর্যন্ত ফাকটা ভরাট হইয়া আছে অস্তিত্বের সঙ্গে পূর্ণতার সঙ্গে তাহার সম্পর্ক কি ? গ্ৰন্থখৃত পাঠ CSS अभी भूथ काला कलिया दा७ि फिब्रिल মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩৭৫ মাছই বেশি। এই খাল আব্ব খালেব চিকবি-কাটা, মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩৭৮ বহিসানুভূতিব এ প্রক্রিয়া শশীব মৌলিক নয় সব মানুষেণ মধ্যে একটি খোকা থাকে যে মনেব কবিত্ব, মনেব কল্পনা, মনের ছাড়া অবাস্তবতা, মনেব পাগলামিকে লইয়া সময়ে অসময়ে এমনিভাবে খেলা করিতে ভালোবাসে। মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩৮৪-৮৫ বড়োলোক হইযা গেল। শ্ৰীনাথ দুহাতে মুড়ি চিড়া বেচে, দুহাতে পয়সা লইয়া কাঠেব বাকুসে বাখে, সৰ্বক্ষণ হায় হায় কবে। কয়েক দিনে ... [মা বচনাসমগ্র ১, পৃ. ৪২০ | কে জানিত শশীকে যাদব এমন কবিয়া বকি৩ে পাবেন। এ জগতে পাগল দিদির পর সেই যে তার সবচেয়ে মেহের পাত্র। মুখ দেখিলে...[মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ৪২১] মানুযটা যখন হাসে অথবা কঁদে তখন হাসি-কান্নার সঙ্গে জড়াইয়া ফেলি মানুষটাকে ; মনে মনে মানুযটােব গায়ে একটা লেবেল আঁটিয়া দিই সুখী অথবা দুঃখী। লেবেল আঁটা দোষের নয়। সব জিনিসেবই একটা সংজ্ঞা থাকা দরকার। কে হাসে আর কে কঁদে এটা বোঝানোর জন্য দু-দশটা শব্দ ব্যবহার করা সুবিধাজনক বটে। তার বেশি আগাই কেন? কেন পরিবর্তন চাই? নিঃশব্দ অশ্রু মুছিয়া আনিতে চাই কেন সশব্দ উল্লাস? রোগ শোক ঃখ বেদনা বিষাদের বদলে শুধু স্বাস্থ্য বিস্মৃতি সুখ আনন্দ উৎসব থাকিলো লাভ কীসের ? [মা রচনাসমগ্র ১, পৃ. ৩৮৪]