পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in পরিশিষ্ট GVV) আনন্দব একাকী বাহিরে যাওয়া নিষেধ, সে অনুযোগ করিয়া বলে, “এই বুঝি আমাকে আপনি ভালবাসেন ** হেরম্ব বলে, “তুমি যাও না আনন্দ, সমুদ্রেব ধারে বালিতে গিয়ে খেলা কর। আমি জানালা দিয়ে তোমায তাকিয়ে দেখল। ‘দূবে-অনেকদূবে,—” আনন্দল চোখ ছলছল কবে, ‘খুব দূবে যেতে না পারলে ভারি বেড়ানো! আমি যাব 'না, যাও। লক্ষ্মী।” “এক মোতে আমাৰ ভাল লাগে না ।” “যাও, আমি কলি যাব। তুমি সমুদ্রেব ধারে দাঁড়ালে জানােলা দিয়ে দেখতে আমার বড় ভাল লাগে ।।’’ শুনিয়া কপাল চাপডইয়া মাতাজী বলেন, “যতে পাগল কি জোটে এসে আমার ভাগ্যে!” স্বামিজীী এখনো ফেবেন নাই। মাতাজীব বিশ্বাস, মিন্সে ভাগি যাছে, আব্ব আসিবে না। তিনি আবাব অল্পবিস্তৰ কারণ পান আরম্ভ কবিয়াছেন, —হেক স্ব বীতিমত প্ৰসাদ পাইতেছে। “কারণ অতি উত্তম পদার্থ, মাতাজী।” মাতাজী মুখ বাঁকাইয়া বলেন, “আর মেয়েমানুষ গ’ “হা হাঃ, মেযেমানুষ কি পদার্থ? মেয়েমানুষ—” অর্থাৎ মেয়েমানুষ অপদার্থ, হেরম্ব এই রসিকতটুকু করিতে চায়, কিন্তু মাতাজী কাপড় তুলিয়া জঙঘা চুলকাইতে আবস্তু কবিয়াছেন দেখিয়া আব্ব সাহস পায় না, ওইখানে ইতি কলে। স্বামিৰ্জাব অনুপস্থিতিব চাপে মাতাজীর মুখ দিযা আজকাল গলগল করিয়া যে গরল বাহির হয়, সে সহ্য করিবার ক্ষমতা হেবম্বেব নাই । বলেন, “তুই তো একনম্বর লম্পট, তোল আবাবা লজ্জা কি ?” হেরম্ব ভাবে, জীবনে শুধু যে একবাত্রির জন্য তাহার পদস্বলন হইয়াছিল সে বাৰ্ত্তা মাতাজীকে শুনাইয়া দিবে নাকি ? কিন্তু মাতাজীব বক্তব্য যে বাক্যোেব অর্থে নয। এইটুকু বুঝিবাব উদাবতায় কিছু না বলাই সে সঙ্গত 26- कवि ! স্বামিজীব বিবাহে মাতাজীরা খেপিয যাওয়াব অধিক বিলম্ব নাই। একটি সুন্দরী বেী স্বামীর সঙ্গো দীক্ষা নিতে আসিয়াছিল। দিন দুই আগে, কারণের পাত্ৰ নামাইয়া মাতাজী বলিয়াছিলেন : `भैीश्की नि3ि ? द्रृक्ष ! ग्रु !' ‘অনেক আশা কবে এসেছি মা, নিরাশ কববেন না।” “মৰণ তোদেব আশাব!’ 'চবাণে ঠাই দিতেই হবে মা। মাতাজীব সেকি বাগ ! “চিন্তায় ঠাই নিবি যা। দীক্ষা যে নিবি শালী, পরস্পবকে না খুঁয়ে থাকতে পাববি তোবা ? ভগবানেব নাম নিয়ে বলতে পাববি স্বামীকে ছুলে আমি যেন বিধবা হই ।” মেযেটি স্বামীব হাত ধবিয়া চলিযা গেলে মাতাজী গম্ভীব গলায় বলিলেন, “জ্ঞানিস হেব্বস্ব, ও মেয়েটার কপালে শীগগিব বৈধব্য আছে!” মেয়েটিব আহত মুখভঙ্গি দেখিযা মাতাজীর উপব হেব্বস্ব বিশেষ খুন্সী হয় নাই। সে বলিল, “একি মাতাজীর মনস্কামনা না ভবিষ্যৎ দৃষ্টি মাতাজী ?” শুনিযা মাতাজী চটিয়া লাল! ‘বেবো তুই আমার বাড়ী থেকে। দূব হ'। আমাব বাড়ী বসে আমাকে তুই গাল দিবি হাবামজাদা?" তখন যে মধুর ব্যাপাব ঘটিল হেরম্ব জীবনে তাহা ভুলিবে না। বাব কয়েক ঠোঁট ফুলাইয়া আনন্দ কঁদিতে আরম্ভ করিষা দিল । মাতাজী সবিস্ময়ে বলিলেন, “তুই কঁাদিস কেন লো স্টুডি ?” ୩. ‘ওকে বোকো না মা, উনি চলে যাকেন।” সেখানে ইতি নয়, সেইখানে আদি। মাতাজীর ইঙ্গিত ছাড়াই হেরম্ব পািনপাত্ৰ তুলিয়া নিয়া ঢাকাঢাকা করিয়া সমস্তটুকুই গিলিয়া ফেলিল, গলায্য আগুন লাগিলে, বুক পুড়িয়া গেলে, মাথা ঘুরিয়া উঠিলেও এখন তার আরাম। মাতাজীব কড়া মদ কি আব্ব আনন্দের দেওয়া আনন্দের চেয়ে কডা!