পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in পরিশিষ্ট (ሯ\o)(፩ ‘চলুন, দেখে আসি।” বিলিয়া আকস্মিক উৎসাহে হেরম্ব উঠিতে গেল। তাঁহাকে দমাইয়া দিয়া সরাসী বলিল, “আব্ব দরকার নেই। টের লোক এসে গিযেছে। আমার দাদা এসেছে, ওঁর ভাই এসেছে,--আপনি গিয়ে কি কববেন ? কেউ যখন ছিল না। তখন যদি একবার দু’বার দয়া কবে যেতেন--” কিছুতেই রেহাই দিবে না। হেরম্ব যে লজ্জায় মাথা হেঁট করিয়াছে তাহাতে সরাসীর তৃপ্তি নাই। হেরম্ব ন্যাকে খত দিলেও সে খুন্সী হইত। কিনা সন্দেহ। কাবণ, হেরান্সেব অপরাধেব মার্জনা নাই। তাহাব মৰণাপন্ন স্বামীণ জীবনরক্ষার জন্য হেরম্ব কোন চেষ্টা কবে নাই, সে যদি এজন্য সমস্ত জীবন ধরিয়া অনুতাপ করে। তবু সবসী তাহাকে ক্ষমা কবিবে না। সমস্ত সময় ওই কথা নিয়া অনুযোগ দিয়া সরাসী আধঘণ্টা খানেক রহিল। আনন্দকে পরিহাস কবিয়া বলিল, “ছোট ঠাকুবেৰ বুপ যে দিন দিন উথলে উঠছে৷” ঈর্ষায় সবসীল মন জ্বালা কবিতেছিল। সে আলােব বলিল, “ছোট ঠাকুর আজকাল মস্ত সন্নেসী। বিদ্বান বড়লোক শিস্য দিবা।বাত্ৰি চাবণে লুটিযে থাকে।” আনন্দ অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে সবসীব অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য করিতেছিল, সরসীকে সে পূৰ্ব্বেও দেখিয়াছে কিন্তু LBBBBB BBBB BB BBB BBB BBBB BBBB BBD SDBDBB BBB BD DBBBS BBB BBD BBBS BBB স্থূল গভীর অণুঅঙ্গ সমস্ত আশ্চৰ্য্য, অতি আশ্চৰ্য্য। যাওয়ার আগে সরাসী মাতাজীকে প্ৰণাম করিল। “যা বাঞ্ছা তুই। জ্বালাসনে আমায়।” “ওঁব বঙ্ড অসুখ মা। মাতাজী খ্রিস্তমিত হইলেন। `ቇ†ኅ ርኅ ‰ ̇ “ওঁব মা ! বাঁচবাৰ আশা নেই।” মাতাজী সবসীর চিবুক ধরিয়া মুখ উচু কবিয়া বলিলেন, ‘কে তোকে এমন নিবাশ কবেড়ে মা যে চোখেব জলে বুক ভাসছে ?”

  • ८& rz | {' ** ಕ್ಲಿ 54 T

মাতাজীব পায়ে লুটাইয়া সবসী যুঁপাইয়া কঁদিতে লাগিল।—“আপনি ওঁকে র্বােচান, মা, ওঁকে আপনি বাঁচান।” কাবণ খাইয়া সমস্ত বাত্ৰি মাতাজী বেঁকুশ হইয়া পড়িয়া বহিলেন। আনন্দ কঁাদিয়া বলিল, “মা মরে যাবে। হে ব্যক্ষ বলিল, ‘কেঁদো না আনন্দ ।” “মা মবে যাবে। ‘সাববেন কেন ? কেঁদো না। তোমাব পাযে পডেছি, তুমি কেঁদো না আনন্দ। “আমার মা মাঝে যাবে ; ওগো, আমার মা মবে যাবে। “আঃ, তুমি বড় অবাধা ?” “আপনি প্রকে বঁচোন, ওঁকে আপনি বাঁচান।” হা হা, আনন্দ পবিহােস কবিতেছে। বাঃ । মাতাজীব জন্য আনন্দেব স্নেহও যে শুধু অভ্যাস এতদিনে তাহা বেশ বোঝা গেল। ইহাব কাছে কি আশা কবা যায় ? শুধু আকৃত্রিম ছলনা। হায়, প্রকৃতি! সকালে উঠিয়া মাতাজীর খুব বাস্ততা দেখা গেলঃ তুড়তুড়ি কবিয়া জল ঢালিয়া তিনি স্নান করিলেন, তাবপর বাহিবে যাওয়াল জনা প্রস্তুত হইলেন। আনন্দ বলিল, “কোথায় যােচ্ছ মা ?” ‘মন্দিরে যাচ্ছি।’ হেরম্ব সন্দিগ্ধভাবে বলিল, হঠাৎ ?” মাতাজী কাষ্ঠীহাসি হাসিয়া বলিলেন, ‘মন্দিরে যাব তার আবার হঠাৎ কিরে ছোড়া গ’ আনন্দ বলিল, “আমি তোমার সঙ্গে যাব মা।” 'না, তুমি বাড়ীতে থাকে, সোনা আমােব।” এই বলিয়া মাতাজী চটপট বাহির হইয়া গেলেন। হেরম্ব সঙ্গে বাহিব হইয়া বলিল, ‘মন্দিরে পৌঁছে দেব মাতাজী ?”