পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bang labOOKS. in G8良 S80 s NS 8 NR SSBs SS8 Σ δ8 Sο SS8 S8t 8s মানিক রচনাসমগ্ৰ ১ জানুয়াবি থেকে “বঙ্গশ্ৰী”-পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের চাকরিতে ইস্তফা। প্রায় একই সময়ে, পববর্তী ভ্ৰাতা সুবোধকুমাবের সহযোগিতায়, ‘উদয়াচল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং হাউস” নামে ছাপাখানা ও প্রকাশনালয় স্থাপন। বঙ্গাব্দ ১৩৪৫ মাঘ-সংখ্যা (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ‘পরিচয়”-পত্রিকায ‘অহিংসা’ উপন্যাসের ধারাবাহিক প্রকাশ শুরু (সমাপ্তি পৌষ ১৩৪৭)। অগাস্ট মাসে প্রকাশিত হয় চতুর্থ গল্পগ্রন্থ “সরীসৃপ। বর্তমান বছবেবী শাবদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পূর্ণ উপন্যাস ‘শহরতলি”-“শহবতলি’ প্ৰকাশেব মধ্য দিয়েই উক্ত পত্রিকাল শারদীয সংখ্যায় সম্পূৰ্ণ উপন্যাস প্রকাশের রীতি প্রবর্তিত হয। বর্তমান বছলেব গোড়াবা দিকে লেখকের নিজস্ব প্রকাশনালয় থেকে প্রকাশিত হয় তঁাব পঞ্চম গল্পগ্রন্থ ‘বেবী” : সম্ভবত এর পর্বেই প্রতিষ্ঠানটি উঠে যায়। জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে “শহরতলি” ১ম পর্ব। বঙ্গাব্দ ১৩৪৭ কার্তিক-সংখ্যা ‘পবিচয’ পত্রিকায় লেখক-সম্পর্কে প্রথম স্বতন্ত্র প্রবন্ধ লেখেন ধূর্জটিপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায। প্রকাশিত গ্ৰন্থ ‘শহবতলি” ২য় পর্ব, ‘অহিংসা’ ও ‘ধরাবাঁধা জীবন’ফ্লগ-তিনটি উপন্যাস । শাবাদী যা আনন্দবাজাল পত্রিকায় সম্পূৰ্ণ উপন্যাস ‘শহববাসেব ইতিকথা”। ১৫ মে তাৰিখে প্রকাশিত উপন্যাস "bडूछा'। “বঙ্গশ্ৰী-পত্রিকা থেকে পদত্যাগেব পর লেখকের দ্বিতীয় এবং শেষ চাকরিজীবন শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী কোনো-এক সময়ে-তৎকালীন ভারত সরকাবেব ন্যাশনাল ওয্যাব ফ্রন্টেব প্রভিন্সিয়াল অরগানাইজাব বেঙ্গল-দপ্তবে পাবলিসিটি অ্যাসিস্টান্ট-পদে তিনি যোগদান করেন এবং অন্তত বর্তমান বছবের শেষভাগ পর্যন্ত উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এই সময় থেকেই অল ইন্ডিয়া বেডিও-ব কলকাতা কেন্দ্র থেকে যুদ্ধ-বিষয়ক প্রচাব ও আলও নানাবিধ বেতার-অনুষ্ঠানে লেখক অংশ নেন। সেপ্টেম্বৰ মাসে প্রকাশিত হয় যষ্ঠ গল্পগ্রন্থ ‘সমুদ্রেব স্বাদ’। বঙ্গাব্দ ১৩৫০ শবদীয় যুগান্তব-পত্রিকায় ‘প্রতিবিম্ব’-নামক ছোটাে একটি উপন্যাস-সম্ভবও একই বছলে, বা পরবর্তী বছৰ, উপন্যাসটি গ্রন্থকূপেও প্রকাশিত হয়। ১৫-১৭ জানুয়ালি তলিখে অনুষ্ঠিত ফাসিস্ট-বিবোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের দ্বিতীয় পাৰ্ষিক সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য। ক্ৰমে এ-দেশের প্রগতি লেখক আন্দোলনে সকিয় অংশগ্রহণ এবং বর্তমান বছবেঙ্গ ভাবতেৰ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান। কমিউনিস্ট পার্টি ও পাটিব সাহিত্য-ফ্রন্টেব সঙ্গে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। ১৫-২৭ অগাস্টে অনুষ্ঠিত পূর্ববঙ্গ প্রগতি লেখক ও শিল্পী সম্মেলনে সাধাবণ অধিবেশলোেব অন্যতম সভাপতি ; একমাত্র প্রকাশিত প্রস্তু, গল্পসংকলন ‘ভেজাল’। ৩-৮ মার্চে অনুষ্ঠিত ফাসিস্ট-বিবোধী লেখক ও শিল্পী সংঘেল তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য। বর্তমান সম্মেলনে পুনরায় সর্বভাবতীয় সংস্থার সঙ্গে সঙ্গতি বেখে সংঘের বাংলা শাখাব নাম হয় ‘প্রগতি লেখক সংঘ’ এবং এই সম্মেলন থেকে লেখক উক্ত সংঘেব পববর্তী বছরেব অন্যতম যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত की । ১২ মে তারিখে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে “গল্প লেখার গল্প-পর্যাযে ভাষণদান । অক্টোবর-ডিসেম্ববেল বিভিন্ন দিনে, আঠাবো-উনিশ শতকীয বাঙালি সঙ্গীতকার বিষধে পৰ্যায়ক্রমিক বেতাব टॉs | প্রকাশিত গ্রন্থ : গল্পগ্রন্থ ‘হলুদ পোডা' এবং উপন্যাস ’দৰ্পণ”। পণ-পব প্রকাশিত হয় পাঁচখানি গ্রন্থ ফেব্রুয়ারি-মার্চ, শহাববাসেব ইতিকথা, উপন্যাস। এপ্রিল-মে, ‘ভিটেমাটি', নাটক । মে-জুন, “আজি কাল পরশুব গল্প, গল্পগ্রন্থ। জুলাই-অগাস্ট, “চিন্তামণি, উপন্যাস। সেপ্টেম্বন-অক্টোবর, “পরিস্থিতি', গল্পগ্রন্থ। ১৬ অগাস্ট ও পববর্তী কয়েকটি দিনের ঐতিহাসিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়, দাঙ্গা-বিধ্বস্ত টালিগঞ্জ অঞ্চলে, জীবন বিপন্ন করে সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও মৈত্রী প্ৰয়াসে সক্রিয় অংশগ্রহণ। প্রকাশিত গ্ৰন্থ তিনটি উপন্যাস ‘চিহ্ন” ও “আদায়েব ইতিহাস’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘খতিয়ান’। ডিসেম্বরেব শেষভাগে বোম্বাই-এ অনুষ্ঠিত প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য শাখার সভাপতি। দুটি গ্রন্থের প্রকাশ - ‘ছোটাে বড়ো” ও “মাটির মাশুল’। ৫ ফেব্রুয়ারি, টালিগঞ্জ-দিগম্বরীতলার পৈতৃক বাড়ি থেকে বরানগর, গোপাললাল ঠাকুর রোড-এর ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেনা এশঃ অবশিষ্ট জীবন সেখানেই বাস করেন।