পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারোগার দপ্তর, ১৬১ সংখ্যা।

 বিপিনও জানিতে পারিলেন যে, রজনীকান্ত তাঁহার বিবাহের চেষ্টা করিয়া বেড়াইতেছেন। কিন্তু লজ্জার খাতিরে সম্মুখে তিনি কোন কথা না বলিয়া, একখানি পত্রে তাঁহার মনের ভাব ব্যক্ত করিয়া আপন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। রজনীকান্ত ঐ পত্র পাঠ করিয়া যে কিরূপ মর্ম্মাহত হইলেন, তাহা বলা যায় না। ক্রমে রাজকিশোরীও এই পত্রের কথা অবগত হইয়া দুঃখ করিতে লাগিলেন। বিপিন রজনীকান্তকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার মর্ম্ম এইরূপ;—

 “দাদা! আমি অনেক দিবস হইতে আমার মনের কথা আপনাকে বলিব বলিয়া মনে করিতেছি, এবং এই সকল কথা আপনার নিকট প্রকাশ না করিলে কোনরূপেই চলিতে পারে না, তাহা আমি অবগত আছি। কিন্তু দারুণ লজ্জার নিমিত্ত এত দিবস তাহা আপনাকে বলিতে পারি নাই। যাহা হউক, এখন দেখিতেছি যে, আমার মনের কথা আপনার নিকট গোপন রাখিলে আর চলে না। মনে করিয়াছিলাম যে, সংসারের খরচ আমি আমার বেতনের টাকা হইতে কেন দিই না ও ঐ টাকা কিসে খরচ করিয়া থাকি, এই কথা যে দিবস আপনি আমাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিবেন, সেই দিবস আমি আমার মনের কথা আপনাকে বলিব; কিন্তু আপনি এক দিবস ভিন্ন দ্বিতীয় দিন আর সে কথা স্পষ্ট করিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন না। সুতরাং এ পর্য্যন্ত আমিও কোনমতে আমার মনের কথা প্রকাশ করিবার সুযোগ পাইলাম না।

 “এখন দেখিতেছি, আপনি আমার বিবাহের নিমিত্ত সবিশেষ ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন। সুতরাং আর আমি আমার