পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারোগার দপ্তর, ১৬১ সংখ্যা।

মাজিয়া, ছাদের উপর উঠিয়া বায়ু সেবন করেন, কোন দিবস বা গাড়ী ডাকাইয়া হাওয়া খাইতে বাহির হইয়া চলিয়া যান।

 এই সকল ঘটনা দেখিয়া রাজকিশোরীর বা রজনীকান্তের কোন কথা কহিবার উপায় নাই। কারণ মানিনী যাহা করেন, বিপিন তাহারই অনুমোদন করিয়া থাকেন। বিপিনকেও কোন কথা বলিবার কাহারও সাধ্য নাই। কারণ, দুই ভ্রাতার মধ্যে বিপিনের উপার্জ্জনই অধিক। মানিনীর বিপক্ষে তাঁহার নিকট কোন কথা বলিলে, তিনি তাহা শ্রবণ করেন না। অধিকন্তু খরচের টাকা বন্ধ করিয়া দিবেন বলিয়া ভয় প্রদর্শন করেন।

 এইরূপে কিছুদিবস অতিবাহিত হইয়া গেল। অশিক্ষিতা রাজকিশোরী বিস্তর সহ্য করিয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু আর কোনরূপেই সহ্য করিয়া উঠিতে পারিলেন না। শিক্ষিতা মানিনীর গুণের কথা সকল ক্রমে রজনীকান্তের কর্ণগোচর করাইলেন। রজনীকান্তও দেখিলেন যে, মানিনী প্রকৃতই সংসারের কোন কার্য্যে হস্তক্ষেপ করেন না, অথচ কোন বিষয়ে একটু ত্রুটি হইলে রাজকিশোরীকে সহস্র কথা শুনাইয়া দেন।

 এই সময়ে রাজকিশোরী হঠাৎ অসুস্থ হইয়া পড়ায় সংসারের কোন কার্য্য দেখিতে বা রন্ধনাদি করিতে সমর্থ হইলেন না। কিন্তু মানিনী তাঁহার দিকে একবারও দৃষ্টিপাত করিলেন না, বা কোনরূপ রন্ধনাদি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিলেন না। সুতরাং অনাহারেই রজনীকান্তকে অফিসে গমন করিতে হইল। বিপিন বাজার হইতে কিছু আহারীয় আনিয়া কিয়দংশ আপনি আহার করিয়া অফিসে গমন করিলেন, কিয়দংশ মানিনীর নিমিত্ত রাখিয়া গেলেন। বাজারের খাবার খাইলে পাছে মানিনীর অসুখ হয়,