পাতা:মানিনী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দারােগার দপ্তর, ১৬১ সংখ্যা।

 ক্রমে রাজকিশোরী আরোগ্যলাভ করিয়া পুনরায় সংসারের কার্য্যে মনঃসংযোগ করিলেন। কিন্তু মানিনী সেই অশিক্ষিতার নিকট আর আগমন করিলেন না। ক্রমে বিপিনও বাড়ী আসা বন্ধ করিয়া আপনার শিক্ষিতা বনিতার বন্ধুর বাড়ীতেই বাস করিতে লাগিলেন। বলা বাহুল্য, সেইস্থানে বিপিনের যত্নে কিছুমাত্র ত্রুটি হইত না।

 ভ্রাতার এই অবস্থা দেখিয়া রজনীকান্ত বিপিনকে আর কোন কথা বলিলেন না, বা তাহার স্ত্রীকে পুনরায় বাড়ীতে আনিতে কোনরূপ অনুরোধও করিলেন না; ভাবিলেন, অশিক্ষিতের সহিত একত্র বাস করিয়া যদি ভিক্ষা করিয়াও দিনপাত করিতে হয়, তাহাও ভাল, তথাপি শিক্ষিতার সহিত একত্র বাস করিয়া স্বর্গীয় সুখেরও বাসনা করা বিড়ম্বনা মাত্র।

 তাঁহার মাসিক ২৫ টাকা কমিয়া গেল সত্য, কিন্তু ভ্রাতা ও ভ্রাতৃজায়া বাড়ী পরিত্যাগ করায় তাঁহার খরচও অনেক কমিয়া গেল। নিজের উপার্জ্জনের উপর নির্ভর করিয়া তাঁহার খরচপত্র অনায়াসে চলিতে লাগিল। অধিকন্তু মাসে মাসে কিছু কিছু জমিতেও লাগিল।


চতুর্থ পরিচ্ছেদ।


 মানিনী তাঁহার যে বন্ধুর বাড়ীতে বাস করিতেন, সেই বাড়ীতে একজন ডাক্তারও থাকিতেন। পরিবারবর্গের ভিতর কাহারও পীড়া হইলে সেই ডাক্তারই তাহার চিকিৎসা করিতেন। উক্ত