মানিনীকেও দেখিতে পাইলেন না। দেখিলেন যে, সেই বাড়ী এখন অন্য লোক দ্বারা অধিকৃত। তাঁহাদিগকে মানিনীর কথা জিজ্ঞাসা করাতে কেহই তাঁহার কথার উত্তর প্রদান করিতে পারিলেন না। সকলেই কহিলেন, তাঁহারা যখন সেই বাড়ী ভাড়া লয়েন, তখন বাড়ীতে কেহই ছিলেন না, বা কোন দ্রব্যাদিও ছিল না, বাড়ীটা সম্পূর্ণরূপেই খালি ছিল।
ভাড়াটিয়াদিগের নিকট হইতে যখন তিনি এই সকল কথা জানিতে পারিলেন, তখন মনে মনে ভাবিলেন, “আমাকে যখন জেলের ভিতর অবস্থান করিতে হইয়াছিল, তখন মানিনী একাকী কিরূপে এই স্থানে অবস্থিতি করিবেন। বোধ হয়, তিনি তাঁহার বন্ধুর বাড়ীতে গমন করিয়াছেন, এবং যে পর্য্যন্ত আমি প্রত্যাগমন না করি, সেই পর্য্যন্ত তিনি সেইস্থানেই বাস করিতেছেন। সেইস্থানে গমন করিলেই আমি মানিনীকে দেখিতে পাইব।”
এই ভাবিয়া দ্রুতগতি তিনি সেই বন্ধুর বাড়ীতে গমন করিলেন। তথায় অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিলেন যে, মানিনী সেইস্থানে গমন করেন নাই। ডাক্তার বাবু যদি মানিনীর কোন কথা বলিতে পারেন, এই ভাবিয়া বিপিন তাঁহার অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন; কিন্তু ডাক্তার বাবুর সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হইল না। জানিতে পারিলেন যে, বিপিন ধৃত হইবার দুই এক দিবস পরেই ডাক্তার বাবু তাঁহার দেশে গমন করিবেন বলিয়া সেইস্থান পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন; সেই সময় পর্য্যন্ত প্রত্যাগমন করেন নাই।
তখন অনন্যোপায় হইয়া যে বাড়ীতে বিপিন বাস করি-