যদি লক্ষ লক্ষ লোক বলে, কোটি যোজন দূরে কোনো বিশেষ গ্রহ-নক্ষত্রের সমবায়ে পৃথিবীর কোনো একটি প্রদেশের জলধারায় এমন অভৌতিক যাদুশক্তির সঞ্চার হয় যাতে স্নানকারীর নিজের ও পূর্ব্বপুরুষের আন্তরিক পাপ যায় ধুয়ে তাহলে বলতেই হবে,
সব সাঁচ মিলৈ সো সাঁচ হৈ
না মিলৈ সো ঝূঁঠ।
বিশ্বের বুদ্ধি এ বুদ্ধির সঙ্গে মিলল না। কিন্তু যেখানে বলা হয়েচে,
অদ্ভির্গাত্রাণি শুধ্যন্তি মনঃ সত্যেন শুধ্যতি
—জল দিয়ে কেবল দেহেরই শোধন হয়, মনের শোধন হয় সত্যে সেখানে বিশ্বমানবমনের সম্মতি পাওয়া যায়। কিংবা যেখানে বলা হয়েচে—
কৃত্বা পাপং হি সন্তপ্য তস্মাৎ পাপাৎ প্রমুচ্যতে।
নৈবং কুর্য্যাম্ পুনরিতি নিবৃত্ত্যা পুয়তে তু সঃ॥
—পাপ করে সন্তপ্ত হোলে সেই সন্তাপ থেকেই পাপের মোচন হয়, এমন কাজ আর করব না বলে নিবৃত্ত হোলেই মানুষ পবিত্র হতে পারে, সেখানে এই বলাতেই মানুষ আপন বুদ্ধিতে স্বীকার করে বিশ্বমনের প্রজ্ঞাকে,
তং হ দেবম্ আত্মবুদ্ধিপ্রকাশম্