পাতা:মানুষের ধর্ম্ম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
মানুষের ধর্ম্ম

মধ্যে তাকে পাওয়া গিয়েছিল। সেই অনুভূতিকে প্রকাশের জন্যে মরীয়া হ’য়ে উঠেছিলুম, কিন্তু ভালো রকম প্রকাশ করতে পারিনি। যা বলেচি অসম্পূর্ণভাবে বলেচি।

 প্রভাতসঙ্গীতের শেষের কবিতা—

“আজ আমি কথা কহিব না।
আর আমি গান গাহিব না।
হের আজি ভোর-বেলা এসেছে রে মেলা লোক,
ঘিরে আছে চারিদিকে
চেয়ে আছে অনিমিখে,
হেরে মোর হাসি-মুখ ভুলে গেছে দুখ-শোক।
আজ আমি গান গাহিব না।”

 এর থেকে বুঝতে পারা যাবে, মন তখন কীভাবে আবিষ্ট হয়েছিল, কোন্‌ সত্যকে মন স্পর্শ করেছিল। যা-কিছু হচ্চে, সেই মহামানবে মিলচে, আবার ফিরেও আসচে সেখান থেকে প্রতিধ্বনিরূপে নানা রসে সৌন্দর্য্যে মণ্ডিত হ’য়ে। এটা উপলব্ধি হয়েছিল অনুভূতিরূপে, তত্ত্বরূপে নয়। সে সময় বালকের মন এই অনুভূতি দ্বারা যেভাবে আন্দোলিত হয়েছিল, তারই অসম্পূর্ণ প্রকাশ প্রভাতসঙ্গীতের মধ্যে। সেদিন অক্সফোর্ডে যা