পাতা:মানুষের ধর্ম্ম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানুষের ধর্ম্ম
২৯

উপর থেকে নীচে পড়ল একটা পাথর। জ্ঞানের দেউড়িতে যে-দ্বারী থাকে সে খবর দিলে, এই-যে পড়েচে। নীচের দিকে উপরের বস্তুর যে-টান সেইটে ঘটল। দ্বারীর কর্ত্তব্য শেষ হোলো। ভিতর মহল থেকে শোনা গেল, একে টান, ওকে টান, তাকে টান, বারে বারে “এই-যে।” কিন্তু সব এই-যেকে পেরিয়ে বিশ্বজোড়া একমাত্র টান।

উপনিষদ সকলের মধ্যে এই এককে জানাই বলেন,

প্রতিবোথ বিদিতম্‌

—প্রত্যেক পৃথক পড়ার বোধে একটি অদ্বিতীয় টানকে সত্য বলে জানা। তেমনি, আমি শুনি, তুমি শোনো, এখন শুনি, তখন শুনি, এই প্রত্যেক শোনার বোধে যে-একমাত্র পরম শোনার সত্য বিদিত সেই প্রতিবোধবিদিত এক সত্যই

শ্রোত্রস্য শ্রোত্রং।

তার সম্বন্ধে উপনিষদ বলেন, অন্যদেব তদ্বিদিতাদথো অবিদিতাদধি। আমরা যা-কিছু জানি এবং জানিনে সব হতেই স্বতন্ত্র। ভৌতিক বিজ্ঞানেও যা গুহাহিত তাকে আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সঙ্গে কেবল যে মেলাতে পারিনে তা নয়, বলতে হয় এ তার বিপরীত। ভাষায় বলি ভারাকর্ষণ শক্তি,