পাতা:মানুষের ধর্ম্ম - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানুষের ধর্ম্ম
৫৫

হয়নি। তবু সমস্ত মানবসমাজে সৌন্দর্য্যসৃষ্টির কাজে মানুষের যত প্রভূত শক্তির প্রয়োগ হচ্চে এমন অল্প বিষয়েই। অথচ জীবনধারণে এর প্রয়োজন নেই, এর প্রয়োজন আত্মিক। অর্থাৎ এর দ্বারা বাইরের জিনিষকে পাইনে অন্তরের দিক থেকে দীপ্তিমান হই, পরিতৃপ্ত হই। এই পরিতৃপ্ত হওয়ার দ্বারা যাঁকে জানি তাঁকে বলি রসো বৈ সঃ।

 এই হওয়ার দ্বারা পাওয়ার কথা উপনিষদে বারবার শোনা যায়, তার থেকে এই বুঝি, মানুষের যা চরম পাবার বিষয় তার সঙ্গে মানুষ একাত্মক, মানুষ তারই মধ্যে সত্য, কেবল তার বোধের বাধা আছে।


নাবিরতো দুশ্চরিতান্‌ নাশান্তো নাসমাহিতঃ
নাশান্তো মানসো বাপি প্রজ্ঞানেনৈনমাপ্নুয়াৎ।

 বলচেন, কেবল জানার দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না। হওয়ার দ্বারা পেতে হবে, দুশ্চরিত থেকে বিরত হওয়া, সমাহিত হওয়া, রিপুদমন ক’রে আচঞ্চলমন হওয়া দ্বারাই তাঁকে পেতে হবে। অর্থাৎ এ এমন পাওয়া যা আপনারই চিরন্তন সত্যকে পাওয়া।

 পূর্ব্বে বলেচি ভৌতিক সত্যকে বিশুদ্ধ ক’রে দেখতে গেলে কাছের সমস্ত মলিনতা ও চাঞ্চল্য, ব্যক্তিগত