সচেষ্ট যোগসাধনের দ্বারাই সে আপনাকে সত্য ক’রে জানতে থাকে। বাহিরের যোগে তার সম্বৃদ্ধি, ভিতরের যোগে তার সার্থকতা।
আমাদের ভৌতিক দেহ স্বতন্ত্র পদার্থ নয়। পৃথিবীর মাটি জল বাতাস উত্তাপ, পৃথিবীর ওজন আয়তন গতি সমস্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যে এই শরীর; কোথাও তার সঙ্গে এর একান্ত ছেদ নেই। বলা যেতে পারে পৃথিবী মানুষের পরম দেহ, সাধনার দ্বারা যোগবিস্তারের দ্বারা এই বিরাটকে মানুষ আপন ক’রে তুলচে, বড়ো দেহের মধ্যে ছোটো দেহকে প্রসারিত করচে, বিশ্বভৌতিক শক্তিকে আয়ত্ত ক’রে পরিমিত দেহের কর্ম্মশক্তিকে পরিপূর্ণ করেচে, চোখ স্পষ্টতর ক’রে দেখচে সুদূরস্থ মহীয়ান ও নিকটস্থ কনীয়ানকে; দুই হাত পাচ্চে বহুসহস্র হাতের শক্তি, দেশের দূরত্ব সঙ্কীর্ণ হয়ে আমাদের দেহের নিকটবর্ত্তী হচ্চে। একদিন সমস্ত ভৌতিক শক্তি দেহশক্তির পরিশিষ্ট হয়ে উঠবে মানুষের এই সঙ্কল্প।
সর্ব্বতঃ পাণিপাদন্তৎ সর্ব্বতোঽক্ষিশিরোমুখম্
সর্ব্বতঃ শ্রুতিমল্লোঁকে সর্ব্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি।
এই বাণীকে নিজের মধ্যে সার্থক করবে সেই