পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী

একটা সোণার আতা ছুঁড়বেন, সেই আতা যে ধরতে পারবে তাকে তিনটি কাজের ভার দেওয়া হবে; সেই কাজ যদি সে সময়মত শেষ করতে পারে, তবে তার সঙ্গে রাজকন্যার বিবাহ হবে; নৈলে নয়। ঘোষণা শুনে ভীরু যারা, তারা পিছিয়ে পড়ল। শুধু দাঁড়িয়ে রইল দুশো রাজপুত্র, দুশো পণ্ডিত আর একজন রাখাল। রাখাল গরীব বটে, কিন্তু তার চেহারা রাজপুত্রদের কারো চেয়ে খারাপ ছিল না। কিন্তু রাখাল রাজকন্যাকে বিয়ে করতে চায়,—তার স্পৰ্দ্ধা দেখে মন্ত্রী পারিষদ সব হেসেই খুন। সে কিন্তু কোন দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।

 রাজকুমারী আতা ছুঁড়লেন, ধরলেন এক রাজপুত্র। কিন্তু সেই পর্য্যন্তই। তাঁর উপর এক কাজের ভার দেওয়া হল। তিনি কিন্তু শুনেই ঘোড়ায় চড়ে বাড়ীমুখো হলেন। আরও দুবার রাজকন্যা সোণার আতা ছুঁড়লেন। এবার যে দু’জন ধরলেন, তাঁরাও কেউ রাজার ফরমায়েসী কাজ করতে সাহস পেলেন না। শেষে চার বারের পর সোণার আতা পড়ল রাখালের হাতে। রাখাল বুক ফুলিয়ে রাজার সামনে এসে বললে, “কি কাজ করতে হবে, মহারাজ, হুকুম করুন।” মন্ত্রী পারিষদ সবাই রাখালের অহঙ্কারে আশ্চর্য্য হয়ে গেল। রাজা বললেন, “আমার দক্ষিণের আস্তাবলে একশো খরগোষ