পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/১১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩
মায়াবাঁশী

আছে। কাল সকালে তাদের ছেড়ে দেবে, আবার সন্ধ্যাকালে ফিরিয়ে আনতে হবে। হুঁসিয়ার, একটিও যেন না হারায়। একটা কম হলে তোমার প্রাণ যাবে, এই হচ্ছে প্রথম কাজ।”

 রাখাল ভাবল, এ আবার কি! গরু, মোষ, ভেড়া, ছাগল পাঁচ বছর বয়স থেকে চরিয়েছি কিন্তু খরগোষ তো কখনও চরাইনি। এটা দেখছি নূতন রকমের কাজ। আচ্ছা দেখা যাক। এই ভেবে রাখাল বললে, “মহারাজ, কাল দিনটা আমায় ভাববার সময় দিন। কাল বিকেলে জবাব দেব।” ভালয় ভালয় আপদ বিদায় হয় ভালই, এই ভেবে রাজা বললেন, “আচ্ছা বেশ, এক দিন তোমাকে ভাববার সময় দিলাম।”

 রাখাল বিদায় নিয়ে ভাবতে বসল। রাজকন্যাকে বিয়ে করতে এসে এমন বিপদে পড়বে, সে আগে ভাবেনি। এখন কি করা যায়! ভাবতে ভাবতে রাখাল বনের দিকে চলল। কাঁটায় পা ছিঁড়ে রক্ত পড়তে লাগল, গাছের ডালে লেগে ছেঁড়া জামা একেবারে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। সেদিকে খেয়াল নেই, রাখাল কেবলই চলছে। সহসা পায়ের শব্দে চমকে উঠে রাখাল দেখলে সামনে এক বুড়ী। বয়স হবে একশো বছর। সবগুলো দাঁত পড়ে গেছে। গায়ে কতকগুলো কাঁথা, মাথায় ধুচুনীর মত মস্ত একটা টুপী। সুন্দর ছেলেটার