পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/১২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
 মায়াবাঁশী

মলিন মুখ দেখে বুড়ী জিজ্ঞেস করলে, “তুমি কি ভাবছ বাছা?”

 “আর বলো না মাসী, রাজকন্যা বিয়ে করতে এসে মহা মুস্কিলে পড়েছি।” এই বলে সব কথা রাখাল বুড়ীকে খুলে বলল। বুড়ী বললে, “এই তো? আচ্ছা, আমি এর উপায় কচ্ছি; তুমি ভেবো না। এই বাঁশীটা নাও।” বলে বুড়ী টুপীর ভেতর থেকে একটা হাতীর দাঁতের বাঁশী বের করে রাখালের হাতে দিলে। সুন্দর বাঁশী, দুধের মত রং। বাঁশী হাতে নিয়ে মুখ তুলতেই রাখাল দেখলে বুড়ী আর নেই। রাখাল খানিকক্ষণ “বুড়ী” “বুড়ী” ক’রে ডাকল। কেউ সাড়া দিল না। বাঁশী দিয়ে কি করতে হবে ভেবে না পেয়ে রাখাল ধীরে ধীরে ফিরে গেল। সমস্ত দিনের পরিশ্রমে আর অনাহারে ক্লান্ত হ’য়ে সে বাঁশী হাতে করে ঘুমিয়ে পড়ল।

 পরদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গতেই রাখাল দেখলে হাতের মুঠোর ভিতর বাঁশী, দেখেই আগেকার দিনের সব কথা মনে পড়ে গেল; আমনি ছুটে গিয়ে সে রাজসভায় হাজির। বললে, “মহারাজ! কোথায় আপনার খরগোষ? আমি রাজী আছি।” সভাসদেরা বললে, “ভেবে দেখো হে খোকা, শেষে লোভে পড়ে প্রাণ হারাবে?”

 “দেখেছি মশাই। প্রাণ তো যাবেই একদিন, না হয়