“তোমার গাধার লেজে যদি বার তিনেক চুমো দিতে পার।”
রাজার মুখ কালী হ’য়ে গেল। যদি কেউ দেখে ফেলে তবেই সর্ব্বনাশ!
কি করেন? মানের দায় বড় দায়। “আচ্ছা দেখি” বলে রাজা ভয়ে ভয়ে চারদিক চেয়ে দেখলেন, কেউ নেই।
তখন আস্তে আস্তে গাধার লেজটা মুখের কাছে তুলে প্রথম চুমো দিলেন। যে গন্ধ! চুমে খেয়েই রাজা “ওয়াক থুঃ” ক’রে উঠলেন। রাখাল খিল খিল করে হেসে উঠলো, “বেশ বন্ধু, আর দুবার, তাহ’লেই বড় খরগোষটা তোমার।” রাজা কটমটিয়ে চেয়ে কোন মতে আর দুটি চুমো দিয়ে খরগোষটাকে ঝোলায় পুরে গাধায় চেপে চললেন। খানিক দূর যেতেই রাখাল বাঁশীতে দিল ফুঁ। খরগোষও লাফিয়ে এসে রাখালের বুকের উপর পড়ল।
রাগে অপমানে রাজার শরীর জ্বলতে লাগলো। কোন মতে মনের রাগ মনে চেপে রাজা চললেন মেয়ের সঙ্গে পরামর্শ করতে। কিন্তু কেউ কারো কাছে নিজের দুর্দ্দশার কথা ভাঙ্গলেন না। নতুন কোন উপায়ে রাখালের হাত থেকে বাঁচা যায় কিনা, সেই পরামর্শ চলতে লাগল।
সন্ধ্যাকালে রাখাল হাসতে হাসতে রাজসভায় এসে