পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
১৬

 “ওহে থাম থাম, আর দরকার নেই—হ’য়েছে হয়েছে।”

 “হবে কি, মহারাজ? ঝুলি যে এখনও ভরে নি। তারপর মহারাজ তিনবার”—এইবার রাজা সিংহাসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠে রাখালের মুখ চেপে ধরে কানে কানে বললেন, “দোহাই বাপ, এত চাকর-বাকরের সামনে আর বুড়োকে অপদস্থ করো না, ক্ষান্ত হও।”

 “যে আজ্ঞা! তবে রাজকন্যার আসতে আজ্ঞা হোক।” রাজকন্যা সেজে এলেন। রাখাল রাজার জামাই হ'ল। রাজকন্যার ভয় ভেঙ্গে গেল। দেখলেন রাখাল গুণে কোন রাজপুত্রের চেয়ে খাটো নয়। বিয়ের রাতে রাখালের বুড়ী মা এল; সেই বাঁশী-বুড়ীও এসেছিল।

 বাসরঘরে রাজকন্যা তাঁর বাপের গাধার লেজে চুমো দেওয়ার কথা শুনে হেসে লুটোপুটি হলেন। রাখাল রাজার জামাই হ’য়ে পরম সুখে কাল কাটাতে লাগল।


 ফরাসী ঔপন্যাসিক ডুনা হইতে।