পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
২০

পোষাকে সব জরির কাজ করা। জডিগ দেখে অবাক হ’য়ে গেল। সাধুকে জিজ্ঞাসা করলে, “এদেশের নাম কি প্রভু?” সাধু বললেন, “দেশের নাম, সোনার দেশ। এ দেশের মত ঐশ্বর্য্য আর কোন দেশের নেই।” সাধু সিংহদ্বার দিয়ে নগরে প্রবেশ করলেন। জডিগ ভয়ে ভয়ে তার সঙ্গে চলল। খানিক দূর গিয়ে জডিগ দেখলে যে প্রকাণ্ড বাড়ী, তার চারি পাশে হাজার হাজার লোক;—কেউ গান গাচ্ছে, কেউ খেলছে, কেউ বাজাচ্ছে—এই রকম। কারো যে কোনরূপ চিন্তা আছে দেখে তা বোধ হয় না।

 বাড়ীর দরজায় রূপার চৌকাটে সোণার কবাট, তাতে নানা রকম হীরা মাণিক বসানো। দরজার দুপাশে দুটি সিংহ দুটি পোষা কুকুরের মত ব’সে আছে। তাদের দেখেই জডিগ ভয়ে থমকে গেল।

 “ভয় কি হে, চলে এস।” ব’লে সাধু একেবারে জডিগের হাত ধ’রে যে ঘরে বাড়ীর কর্ত্তা ভোজে ব’সেছিলেন সেই ঘরে গিয়ে উপস্থিত। তাঁরা যেতেই চাকর এসে দু’জনকে এক রূপার টেবিলের ধারে বসিয়ে দিল। টেবিলের উপর রাজ্যের ফল মূল, নানারকম সুখাদ্য ব্যঞ্জন। সারাদিন হেঁটে হেঁটে জডিগের বেশ ক্ষুধা বোধ হ’য়েছিল। সাধুর জন্য অপেক্ষা করবার আর তার সবুর সইল না। সে খেতে বসে