পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৩১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২১
মায়াবাঁশী

গেল। আহার শেষ হ’লে তাঁদের হাত ধোবার জন্য তক্‌মাপরা এক চাপরাশী এসে সোনার ঘটিতে জল দিয়ে গেল। বাড়ীর কর্ত্তা কিন্তু আপন মনে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প ক’রে যাচ্ছেন, যেন এই অতিথিদের সঙ্গে কথা বলবারও তাঁর ফুরসৎ নেই। সমস্ত কাজ কলের মত হ’য়ে যাচ্ছে। খানিকক্ষণ পরে রাত্রি যখন গভীর হয়ে এল, তখন এক চাকর এসে সাধু আর জডিগকে একটা প্রকাণ্ড আয়নামোড়া ঘরে ডেকে নিয়ে গেল। সেখানে সোনার পালঙ্কে পালকের গদী। পালঙ্কের ধারে কার্পেটের পাপোষ। ঘরের কোণে টেবিলের উপর সোনার ঘটিতে মুখ ধোবার জল। সমস্ত ঘরে সোনা রূপার জিনিসের ছড়াছড়ি। দেখে জডিগ কেবলই অবাক হয়ে ভাবছিল, আর সাধু হাসছিলেন। এই ঘরে তাঁদের রেখে চাকর চলে গেল। তখন সাধু জডিগকে বললেন, “এখন চল বেরিয়ে পড়া যাক।” “এত রাত্রে কোথায় যাবেন?”—জডিগ বললে। “যে দিকে দুই চক্ষু যায়, চল।” ব’লে জডিগের হাত ধরে সাধু চোরের মত ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পথে বেরিয়ে পড়লেন, যাবার সময় ঘরের সোনার ঘটীটা ঝোলার ভিতর নিয়ে গেলেন।

 লডিগ দেখলে, কিন্তু কোনও কথা বললে না। মনে কিন্তু তার বড় রাগ হ’ল। লোকটা চর্ব্বচোষ্য দিয়ে পেট