পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৩২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
২২

ভরে খাওয়ালে, আর কিনা তারই জিনিস চুরি করা! কিন্তু মুখ বন্ধ। কিছু বলবার যে নেই। কাজেই মনের রাগ মনে চেপে সাধুর সঙ্গে সে চলতে লাগল।

 পথে পথেই সারা দিনমান কাটল। সন্ধ্যাকালে এক গ্রামে এসে দুজনে উপস্থিত হলেন। সেখানে এক বাড়ীর দরজায় দাঁড়িয়ে সাধু হাঁকলেন, “কে আছ? দরজা খুলে দাও।” প্রথম ডাকে কেউ সাড়া দিল না। তারপর সাধু জোরে দরজায় এক ধাক্কা দিতেই ভিতর থেকে কেউ নাকিসুরে বললে, “বাড়ীতে কেউ নেই।”

 সাধু হেসে বললেন, “কি রকম কথা! এই যে কথা বলছ!”

 “তাতে কি তোমার? আমি যদি দরজা না খুলি।”

 “দরজা তোমাকে খুলতেই হবে। যদি না খোল তবে এমন ধাক্কা দেব যে, দরজা কেন তোমার বাড়ীশুদ্ধ ভেঙ্গে পড়বে।”

 অমনি ভিতর থেকে সেই নাকিসুর চীৎকার ক’রে উঠল, “এই খুলছি, খুলচি, দরজা ভেঙ্গ না, দরজা ভেঙ্গ না।”