পারলে না। সাধু ইতিমধ্যে ঘরে ঢুকেই দেখেন যে, টেবিলের উপর খানদুই পোড়া রুটী আর এক গেলাস জল। তখন আর বাক্যব্যয় না করে একখানা রুটী মুখে দিয়েই ইসারায় জডিগকে ডাকলেন। জডিগ এসে রাকী একখানা গালে পুরে চুপচাপ বসে রইল। বাড়ীর কর্ত্তার তো চক্ষুস্থির! এরকম অদ্ভুত রকমের অতিথি তাঁর ভাগ্যে পূর্ব্বে আর জোটেনি। সাধু হেসে কর্ত্তাকে বললেন, “আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমাদের শোবার বন্দোবস্ত আমরা নিজেরাই করে নিচ্ছি।” এই বলেই একেবারে ঘরের কোণে খাটিয়ায় খড়ের যে বিছানা পাতা ছিল তারই উপর গিয়ে শুয়ে পড়লেন। জডিগ চারদিকে চেয়ে দেখ্লে, শোবার মত বিছানা আর কোথাও নেই। সে তাড়াতাড়ি টেবিলের উপর থেকে রেকাবী আর গেলাসটা সরিয়ে রেখে সেইখানে গায়ের চাদরটা বিছিয়ে সটান শুয়ে পড়ল। অতিথিদের ব্যবহার দেখে কর্ত্তাবাবু একেবারে হতভম্ব। কি আর করবেন? জডিগের পালোয়ানের মত চেহারা দেখে আর তাঁর গালাগালি দিতে সাহস হচ্ছিল না। কাজেই বিড় বিড় করতে করতে তিনি সদর দরজা বন্ধ করতে গেলেন। এদিকে সমস্ত দিনের পরিশ্রমের পর তপস্বী আর জডিগ ঘুমিয়ে পড়ল।
ভোরের দিকে জডিগ হঠাৎ চমকে উঠে দেখলে সাধু