পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৪০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
২৮

বাড়ীর সামনে এসে দাঁড়ালেন। তারপর বাড়ীর খোলা দরজা দিয়ে একেবারে ঘরে ঢুকে গেলেন। জডিগ তাঁর পিছু নিল। সে বাড়ীটা একটী বুড়ীর। সে তার এক বোনপোকে নিয়ে সেই বাড়ীতে থাকে। সাধুকে দেখে বুড়ী তার হাতের কাজ ফেলে উঠে এল। তারপর নমস্কার করে আসন এনে দিল। সাধু বসে বুড়ীর সঙ্গে নানা রকম আলাপ করতে লাগলেন। তার বোনপো এসে জডিগের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিল। জডিগ একবার করে কথা বলছিল আর সাধুর দিকে চাইছিল। মনে ভয় ছিল পাছে সাধু বুড়ীকে গলা টিপে মেরে ফেলে। বুড়ী আর তার বোনপোর আদর যত্নে জডিগের তাদের উপর অত্যন্ত মমতা হল। সাধু ঘুমুলে সে রাতভোর জেগে রইল, পাছে সাধু বুড়ীর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন, এই আশঙ্কায়। সারারাত সাধু নাক ডাকিয়ে ঘুমুলেন। সকালবেলা উঠে মুখ হাত ধুয়ে বুড়ীর কাছথেকে সাধু বিদায় নিলেন। বুড়ীর বোনপো তাঁদের এগিয়ে দিতে সঙ্গে গেল।

 গ্রামের বাইরে ছিল একটা ছোট নদী। নদীটা ছোট বটে কিন্তু তাতে স্রোত বড় দারুণ। ছোট্ট একটা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে লোকজন এক গাঁ থেকে অন্য গাঁয়ে যাতায়াত করত। সাধু আর সে বুড়ীর বোনপো আগে, আর জডিগ তাদের হাত দশেক পিছনে চলছে। এমন সময় বিকট