পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৪১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৯
মায়াবাঁশী

এক আর্ত্তনাদ শুনে জডিগ চেয়ে দেখে যে বুড়ীর বোনপোর টুঁটি ধরে সাধু তাকে সাঁকোর উপর থেকে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। জডিগ লাফিয়ে গিয়ে সাধুর হাত ধরতেই, শব্দ হল ঝুপ্‌—আর সেই সঙ্গে বুড়ীর বোনপো চোখ উলটিয়ে নদীর জলে তলিয়ে গেল। তখন জডিদের মাথায় খুন চেপে গেল।

 “এইবার ভণ্ড! তোমার পালা এইবার। তোমাকে একবার চুবিয়ে নিই”—এই বলে সাধুর চুল চেপে ধরতেই জডিগ দেখলে সাধু আর নেই সেইখানে, তারই বয়সের একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। মুখখানি তার ফুলের মত সুন্দর, চোখ দুটী হাসিতে ভরা। জডিগ চমকে উঠল। এ মূর্ত্তি সে ছবিতে দেখেছে। দেখেই চিনল। একি, দেবদূত গ্রেব্রিয়েল তার সম্মুখে! হাত জোড় করে বললে, “না বুঝে অপরাধ করেছি, দেবদূত ক্ষমা করুন।”

 দেবদূত বল্লেন, “শোন জডিগ্‌, আমার ব্যবহার দেখে তুমি আশ্চর্য্য হয়েছ। সোনার দেশের জমিদারের সোনার ঘটি চুরি করেছি, কেন জান? ভবিষ্যতে তিনি আর তাঁর সোনারূপার জাঁকজমক কাউকে দেখাবেন না। কৃপণ ঘটি পেয়েছে, ভবিষ্যতে এই রকম পাওনার লোভে সে দুটি একটি শ্রান্ত ও ক্ষুধার্ত্ত পথিককে আশ্রয় দেবে। বুড়োর বাড়ী পুড়িয়েছি। বাড়ীর বদলে বুড়ো ছাই সরাতে গিয়ে মাটীতে