সন্ধ্যার সময় হাজার পাইক বরকন্দাজ সঙ্গে মিকাডো যাচ্ছেন। জাপানের সম্রাটকে ‘মিকাডো’ বলে। মিকাডোর সামনে রসুনচৌকী বাজাতে বাজাতে লোকজন চলেছে। কত হাতী ঘোড়া লোক লস্কর। কুলীর হিংসা হল। সে জিজ্ঞাসা করলে, “এত সোরগোল করে যায় কে হে, আমার বাড়ীর সামনে দিয়ে?” চাকর জবাব দিল, “উনি হচ্ছেন এদেশের রাজা, মিকাডো।” “মিকাডো কি আমার চেয়ে বড়?” “আজ্ঞে হ্যাঁ, হুজুর।”
“বটে! আমার চেয়ে বড় লোকও এদেশে আছে দেখছি। হায়, হায়! জমিদার না হয়ে একেবারে মিকাডো হ’তে চাইলেই তো ভাল হোতো। একেবারে দেশের রাজা হতাম, কারো তোয়াক্কা রাখতাম না।”
আকাশে দেবদূত ছিলেন, বললেন “তাই হবে।”
হঠাৎ কুলীর বোধ হল হাতে আর মাথায় মস্ত বোঝা। চেয়ে দেখে হাতে সোনার ডিবের বদলে প্রকাণ্ড এক সোনার ডাণ্ডা;—মাথায় টাকের উপর দু’সের এক সোনার মুকুট! গালিচার জায়গায় এক সিংহাসনে সে ব’সে, আর সামনে চাকর বাকরের জায়গায় মন্ত্রীরা সব সার-বেঁধে দাড়িয়ে। তার পেছনেই সৈন্য-সামন্তের দলে দলে পায়চারি করে বেড়াচ্ছে। দু’জন দাসী, দুদিকে চামর ঢুলাচ্ছে। আর এক