পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৫০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
মায়াবাঁশী
৩৬

লাভ কি? একটা আকাশের জোনাকি, সেও স্বচ্ছন্দে আমার হুকুম অগ্রাহ করলে! আশ্চর্য্য! একবার সূর্য্য হতে পারলে” কথা শেষ না হতে হতেই কুলী হু হু শব্দে আকাশে উঠতে লাগল। দেবদূত দূর থেকে হাসতে লাগলেন।

 ছোটলোক যদি হঠাৎ বড় হয়, তা হলে তার মনের অবস্থা কেমন হয়, তা তোমরা জান। আকাশে উঠেই কুলী আপনার প্রতাপ প্রকাশ করা হুরু করে দিল। লোকের প্রাণ যায়। ভোর না হতেই কুলী এমন প্রচণ্ড রোদ ছাড়তে আরম্ভ করে দিল, তা দেখে আসল সূর্য্যেরও মুখ কালী হয়ে গেল। গাছপালা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল। মানুষ, পশু পক্ষীর গায়ের রক্ত শুকিয়ে গেল। মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেল।

 দেবতারা প্রমাদ গণলেন। তাঁরা যুক্তি করে প্রকাণ্ড একখানা মেঘকে হুকুম করলেন, “যাও তো হে, তুমি এক বার সূর্য্য বেটাকে ঢেকে খানিকটা বৃষ্টি করে দিয়ে এস, নৈলে যে সৃষ্টি রসাতলে যায়।” মেঘ “যে আজ্ঞা” বলে এসে সূর্য্যকে আড়াল করে বৃষ্টি আরম্ভ করে দিল। লোকের প্রাণ বাঁচল। সকলে রাশি রাশি ফুল ফল এনে মেঘকে পূজা কর্ত্তে বসল। দেখে কুলীর মাথা হয়ে গেল গরম। “বটে! একটা ফড়িং মেঘ,—হাওয়া লাগলে উড়ে যাবেন সাত সমুদ্দর পারে;