পাতা:মায়াবিনী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d R. निौ গিয়া উঠিলেন ; ঘোড়ার লাগাম ও চাবুক স্বহস্তে গ্ৰহণ ধরিয়া গাড়ী জোরে হাকাইয়া দিলেন। গাড়োয়ান তাহার সেই অদৃষ্টপূৰ্ব্ব কাৰ্য্যকলাপ দেখিয়া অবাক হইয়া রহিল ; দেবেন্দ্ৰবিজয়কে পাগল অনুমানে अंश्हिऊ श्रेष्ठ । দেবেন্দ্রবিজয় তাহাকে বলিলেন, “গাড়ী দমদমায় যাবে, বিশেষ দরকার। বাধা দিয়ে না ; বাধা দাও-গাড়ী থেকে ফেলে দিব ; চুপ ক’রে বসে থাক ; যদি দশ টাকা ভাড়া পেতে চাও-কোন কথাটি কয়ো না-চুপ ক’রে বসে থাক।” গাড়োয়ান অদৃষ্টের উপর নির্ভর করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। সে দুইদিনে কখন দশ টাকা রোজগার করিতে পারে নাই, এক রাত্রেই দশ টাকা পাইবে শুনিয়া মনে মনে অত্যন্ত অহল্যাদিত হইল। গাড়ী নক্ষত্ৰবেগে ছুটতে লাগিল। : সপ্তম পরিচ্ছেদ উদ্যামের শেষ দেখিতে দেখিতে গাড়ীখানা শু্যামবাজার অতিক্ৰম করিয়া অতি অল্প সময়ের মধ্যে দমদমায় আসিয়া পড়িল। এখনও সেইরূপ তীব্ৰবেগে গাড়ী ছুটিতেছে। যখন সেই গাড়ী হরেক রামের বাগানের নিকটবৰ্ত্তী হইয়াছে, তখন গাড়ীখানার সম্মুখের একখানি চাকা খুলিয়া গেল-গাড়ী দাড়াইল । দেবেন্দ্রবিজয় কি এখন চুপ করিয়া থাকিতে পারেন—লাফাইয়', ভূতলে পড়িলেন ; নির্বাক গাড়োয়ানের হস্তে একখানা দশ টাকার নোট ফেলিয়া দিয়া রুদ্ধশ্বাসে ছুটলেন। . . . .