পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o R शरौौ আমরা জানিতাম না, তখন আমার পিতা কেমন দেখিতে ছিলেন, সে সবল শরীর আজ দুই বৎসরের মধ্যে জরাতুর বৃদ্ধের অপেক্ষাও জীর্ণ শীর্ণ। আজ দুই বৎসরের মধ্যে ফুলসাহেব এ সোণার সংসার শ্মশান করিয়ু তুলিয়াছে। এখনও বলিতেছি, অরিন্দমবাবু, আপনি আমাকে পাগল মনে করবেন না। আমি আমার পিতার মৃতদেহ স্পর্শ করিয়া শপথ করিয়া বলিতেছি, আমি ফুলসাহেবকে যতদূর চিনিতে হয়, চিনিয়াছি। আজ তাহার ভাবগতিক দেখিয়া বুঝিতে পারিয়াছি, এবার সে আপনাকে বিপদগ্ৰস্ত করিতে মনস্থ করিয়াছে। আমি তার মুখ দেখিয়া মনের ভাব বুঝিতে পারি। সেই জন্য আপনাকে সতর্ক করিলাম। সাবধান-খুব সাবধান-ফুলসাহেব বড় ভয়ানক লোক।” কুলসমের সেই আগ্ৰহাতিশয্যে, তাহার সেই সোজাসুজি সারল্যপূর্ণ ‘কথায় অরিন্দমের মনে কেমন একটা খটকা লাগিল। তিনি বলিলেন, “সকল কথা না খুলিয়া বলিলে, আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না ro “না-না ; এখন নয় ; এখনিই পিশাচ আসিয়া পড়িবে—এখন সে সময় নয়।” এই বলিয়া কুলসম সািভয়ে একবার ইতস্ততঃ চাহিল। আরি। যদি বা তিনি আসেন, কি হইয়াছে ? ? কুল। আমাকেই তার ফলভোগ করিতে হইবে। অ। যতক্ষণ আমি উপস্থিত আছি, ততক্ষণ বোধ হয় নয়। কু। ততক্ষণ না হইলেও হইতে পারে। এমন নারকী আর আছে কি ? এদিকে কথাগুলি এমন মধুমাখা, ভাবভঙ্গীতে এমন সাধুতার ভাণ, কার সাধ্য তাহার মনের ভাব বিন্দুবিসর্গ জানিতে পারে ? কখনও তাহার মুদ্ধে কর্কশ কথা শুনিতে পাওয়া যায় না ; কখন রাগিতে জানে না।. আজ। আপনার সহিত যেরূপ অতিশয় ভদ্রভাবে উহাকে আলাপ করিতে দেখিলেন, চব্বিশ ঘণ্টা ঠিক ঐ ভাবে থাকে। আর