পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ter & ỳ o \o আজ যাহাকে দেখিলেন, যাহার বয়স আমার বয়সের চেয়ে বড় বেশি। হইবে না, উনি আমার বিমাতা-উনিও বড় সহজ নহেন। আমার পিতার মৃত্যুতে তিনি যে শোক প্ৰকাশ করিতেছিলেন, তাহ সম্পূর্ণ।” মৌখিক ; তিনি ইহাতে বরং মনে মনে বড়ই আহিলাদিত হইয়া6छ्न्म । श्श्व, আজ সকল রকমে আমার যতদূর সৰ্ব্বনাশ হইত্তে छ्भ, তাহা হইয়াছে। আজ আমার আপনার বলিতে কেহই নাই, পিতা - নাই-মাতা নাই-ভ্ৰাতা নাই—জানি না কাহার কাছে গিয়া দাড়াইব -আমার কি হইবে । কুলসমের চক্ষুদ্বয় অশ্রুপুর্ণ হইয়া আসিল। সে দুইহাতে মুখ চাপিয়া কাঁদিতে লাগিল। তাহার চম্পককলিসদৃশ অঙ্গুলি সকলের পাশ্ব দিয়া অবিরল ধারে অশ্রু বহির্গত হইয়া তাহার হাত দুখানি প্লাবিত করিল। অরিন্দম প্ৰবােধ দিয়া তখন তাহাকে শান্ত করিলেন। কুলসম” ৰলিতে লাগিল, “ফুলসাহেব এ সংসারে পদার্পণ করিবার দুইমাস পরে , আমার মাতার মৃত্যু হুইল। তাহার আরও দশমাস পরে আমার অপেক্ষা দুই বৎসরের ছোট একটি ভাই ছিল, তাহার মৃত্যু হইল। তাহার পর আর ছয়মাস। গত হইতে না হইতে আমার পিতার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইল। তিনি একেবারে শয্যাশায়ী হইয়া পড়িলেন। এ সকলের ভিতরে পিশাচের আরও একটা অভিপ্ৰায় আছে ; পাপিষ্ঠ যে আমাকেও আর অধিক দিন জীবিত রাখিবে, এমন বোধ হয় না।” অরিন্দম বলিলেন, “কেন, এ কথা বলিতেছ। কেন ? * কুলসম বলিল, “যদি না তাহাকে আমি বিবাহ করি, সে শীঘ্রই আমাকে হত্যা করিবে। তেমন নরাধমকে বিবাহ কবিয়া আজীবন মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করা অপেক্ষা একাদণ্ডের মৃত্যু-যন্ত্রণা সহস্ৰগুণে শ্রেয়। " সেইজন্ত পিশাচ-থাকু, ওকথা এখন থাকু, আমি আমার দুঃখের কথা