পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| || VORM গ্লো। অরিন্দম শুধু বুদ্ধিমান ছিল না-বলবানও যথেষ্ট ছিল, সে দিন সেই মাঠে লইয়া তাহাকে হত্যা করিতে গিয়া সে প্রমাণ আমি বেশ পাইয়াছি। আগে আমার এমন বিশ্বাস ছিল না যে, কোন লোক আমাকে শীঘ্র কাবু করিতে পারে। সে যাই হোক আমার বোধ হয়, সেই সময়ে যদুনাথ গোস্বামীর সেই পত্ৰখানি অরিন্দম আমার, কাছ থেকে হস্তগত করিয়া থাকিবে ; সে পত্রে অনেক কথা খুলিয়া লেখা ছিল। তাহাতেই সে তখন রেবতীর মাতামহকে খবর দিয়া যদুনাথের বাড়ী থেকে রেবতীকে সরাইয়া দেয় । ফু। তুমি ভুল বুঝিয়াছ, রেবতী যে মাতামহের নিকট গিয়াছে এ কথা একটা ছলমাত্ৰ-রেবতীর সন্ধান করিতে না পারিলে ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না।, যখন অরিন্দমকে এ সংসার হইতে বিদায় করিতে পারিয়াছি, তখন আর ভয় কি ? সকল কাজই আমরা নির্বিত্বে অথচ । খুব শীঘ্রই শেষ করিয়া উঠিতে পারিব। গোঁ। এদিকে, রেবতীকে সন্ধান করিয়া শীঘ্ৰ বাহির করিতে না পারিলে, গোপালচন্দ্রের নিকট একটি পয়সাও পাবার সম্ভাবনা নাই । ফু। তাঁহাতো জানি, তুমি কি মনে কর, সে জন্য আমি কোন ৷ চেষ্টা করিতেছি না ? অরিন্দম যখন মরিয়াছে, তখন আর ভাবুন কি ? আমি সকল সন্ধান রাখিয়া থাকি। ইদানীং যে, অরিন্দম কেশব চন্দ্রের সন্ধানে ঘুরিতেছিল, তাহাও জানি ; কিন্তু বোকারীর্ম জানিত না যে, তার কেশবচন্দ্ৰ এদিকে ফুলসাহেব-মূৰ্ত্তিতে ভার চোখের উপর ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল। অরিন্দম শুনিয়া বিস্মিত হইলেন বটে—ততদূর নহে, কারণ পূর্বেই তিনি অনেকটা এইরূপ আশা করিয়াছিলেন। আরও মনোযোগের সহিত, কবাটের উপর কাণ রাখিয়া রুদ্ধশ্বাসে শুনিতে লাগিলেন ।