পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 r ·


অরিন্দম, পূৰ্বে জুমেলিয়াকে যত সহজে গ্ৰেপ্তার করিবেন ম করিয়াছিলেন, কাৰ্য্যতঃ তাহা ঘটিল না। অরিন্দম তখন বুঝিতে পারি লেন, জুমলিয়ার মত এমন প্রখরা, প্রবলা, দুৰ্দমনীয়া, মরিয়া স্ত্রীলোক আর কখনও তাহার দৃষ্টিগোচর হয় নাই। দুইজনকে আহত করিয়া তাহার পর সে ধরা পড়িল। দৃঢ়স্বরে জুমেলিয়া অরিন্দমকে বলিল, “বড় জোর কপাল তোমার, আরিন্দম! তাই তুমি আমার হাত হইতে আজ পর পাইলে, যদি আর একটু অবসর পাইতাম-যদি এত শাস্ত্ৰ আমাকে নিরস্ত্ৰ হইতে না হইত, তাহা হইলে দেখিতে পাইতে কেমন করিয়া তোমার রক্তে আমি মান করিতাম।” অরিন্দম বলিলেন, “ফুলসাহেবের উপপত্নীর পক্ষে এ বড় আশ্চয্য · ९८छ् ।° জুমেলিয়া বলিল, “আমি ফুলসাহেবের উপপত্নী ? এ মিথ্যাকথা তোমায় কে বলিল ?” অরিন্দম বলিলেন, “জুমেলিয়া, আমি ফুলসাহেবের মুখে শুনিয়াছি, তুমি বিষ দিয়া কুলসমের পিতা, মাতা, ভ্রাতাকে হত্যা করিয়াছ, তাহাও আমি তাহার মুখে শুনিয়াছি।” জুমেলিয়া ঘলিল, “মিথ্যা কথা ! ইহাও কি ফুলসাহেব স্বীকার कब्रिशांछ ?” • অরিন্দম বলিলেন, “আিৰ্হ ।” জুমেলিয়া বলিল, “তবে আমিও স্বীকার করিতেছি। (ক্ষণপরে ) এখন আমাকে কোথায় লইয়া যাইবে ?” • অরিন্দম বলিলেন, “যেখানে তোমার পাপের ঠিক প্ৰায়শ্চিত্ত হইবে।” জুমেলিয়া’ বলিল, “চল যাইতেছি, কিন্তু শুনিয়া রাখা, নিৰ্বোধ