পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । यांौिद्र फेंब्रजयान। সেই রাত্ৰি । প্ৰলয়ঙ্করী মূৰ্ত্তি ধরিয়া তখন সেই মেঘাচ্ছায়ান্ধকারভীষণ রাত্ৰি সমস্ত জগৎ বিভীষিকাময় করিয়া তুলিয়াছে। প্রবলবেগে ঝড়বৃষ্টি আরম্ভ হইয়াছে এবং ঝটিকাসক্রুদ্ধ প্ৰকাণ্ড গাছগুলা মাতৃহারা দৈত্যশিশুর মত বিকটরবে মৰ্ম্মকাতরতা দিগদিগন্তে বিস্তৃত করিতেছে ; রূপকথার রাজ-অতিথি ছদ্মবেশী নিশীথে-কৰ্ত্তব্য-পরায়ণ বুভুক্ষিত রক্ষসের মত ঝড় বিকট গির্জন করিয়া ছুটিতেছে। সেই প্ৰবল ঝড়ের সহিত মিলিয়া, কৃষ্ণ, নিবিড়, ছিদ্রশূন্য মেঘ ও অকাতর বর্ষণসচেষ্ট বৃষ্টি একটা তুমুল বিপ্লবের মধ্যে ফেলিয়া সমস্ত পৃথিবীটাকে একটা পৈশাচিক তাণ্ডবক্ষেত্রে পরিণত করিয়াছে।” এমন, সময় জেলখানার ভিতরে পূর্বদিককার অত্যুচ্চ প্রাচীরের কিঞ্চিৎদুরে একটা বটগাছের তলায় দাড়াইয়া, ফুলসাহেব ও জুমেলিয়া। কাহারও মুখে কথা নাই—উভয়েই চিন্তামগ্ন। এখন কোন রকমে এই শেষ বাধা অতিক্ৰম করিতে পারিলেই, তাহারা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ হইতে পারে। প্রত্যেক দিককার প্রাচীরের উপর সশস্ত্র প্রহরীরা নতশিরে দ্রুতপদে ফিরিতেছে। মস্তকের উপর অনবরত ধারাপাত হইতেছে, ভীষণ ঝটিকায় তাহাদিগকে পতনোমুখ করিতেছে, তথাপি প্ৰভু ভক্ত তাহার কৰ্ত্তব্যপরাত্মখ নহে। এক একবার গগনভেদী “জুড়ীদার হো” শব্দে পরস্পর পরস্পরের অস্তিত্বের थबंध आहेऊ८छ ।