পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ’। मीि ७ नत्रिौं । স্কুলসাহেব মোহনার কথাগুলি শুনিয়া, কিয়ংক্ষিণ নীরবে থাকিয়া তাহার পর বলিল, “সে সকল কথা এখন কেন ? • মোহিনি ! এখন আমার সকল অপরাধ মার্জনা করিয়া আমাকে রক্ষা করি ; তোমার অঞ্চলটা ফেলিয়া দাও, তাহা হইলে আমার জীবন রক্ষা হয়। এখানকার জলের টান এত অধিক, কিছুতেই আমি উঠিতে পারিতেছি। না । এরূপ অবস্থায় আর এক মুহুৰ্ত্তও কাটে না-বড় কষ্ট হইতেছে । একবার হাত ছাড়িয়া গেলে সম্মুখের দহে পড়িয়া প্ৰাণ হারাইতে হুইবে । মোহিনি ! বঁাচাও-রক্ষা কর-আমি এখন বড়ই বিপন্ন । এরূপভাবে আর এক মুহুৰ্ত্তও থাকিতে পারিতেছি না।” ” “এরূপভাবে যাহাতে আর এক মুহূৰ্ত্ত থাকিতে না হয়, তাহার উপায় করিতেছি।” বলিয়া মোহিনী সেই বটশাখার অপর একটু শিকড় ধরিয়া, ঝুকিয়া পড়িয়া, যে শিকড় ধরিয়া ফুলসাহেব অতিকষ্টে জীবনটাকে মৃত্যুর মুখ হইতে এতক্ষণ তুলিয়া রাখিয়াছিল, তদুপরি সেই ছুরিকার আঘাত করিতে লাগিল । ফুলসাহেব কাতরস্বরে বলিতে লাগিল, “কি সৰ্ব্বনাশ ! মোহিনী, তুমি কি করিতেছি, আমাকে জলে ডুবাইয়া মারিয়ো না-রক্ষা করাবঁাচাও-মোহিনী, আমাকে ক্ষমা কর-বঁাচাও ।” মোহিনী সাহান্তে বলিল, “তোমার অপরাধের ক্ষমা নাই-থাকিলে কিরিতাম। এমন এক বাণে দুটি পাখী মারিবার লোভ কি সহজে ত্যাগ