পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ ຊ) 1 মনে ও অতিশয় বিস্ময়ের সহিত এই সকল দেখিতে দেখিতে যাইতেছিল। গঙ্গাবক্ষ নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নাময়। নৌকা উজান ঠেলিয়া অগ্রসর হইতেছিল, নৌকার দুই পাশে জল কল কল ডাকিয়া ছুটিতেছিল। সেই জলাকলতান, অপর পারস্থ জ্যোৎ মামণ্ডিত ঝাউশ্রেণীর অনুচ্চ, দূরাগত শনশন শব্দ সেই প্রগাঢ় স্তব্ধতার মধ্যে দিগন্ত বিস্তৃত বিজনতার মধ্যে এক অপূর্ব অপার্থিব ও অচিরশ্ৰত সঙ্গীত-স্রোত সুমধুর ভাবে প্ৰবাহিত করিয়া দিতেছিল। তাহারই তালে তালে, মাত্রায় মাত্রায় দাড় নিক্ষেপের ঝাপ ঝাপ শব্দ মৃদুমন্দ আঘাত করিতেছিল। এক একবার সেই ক্ষেপণীর শব্দ লরচু্যত ও তজ্জন্য শ্রুতিকটু হইয়ু পরিশ্ৰান্ত নীড়স্থ কাকগুলিকে বিনিদ্র ও মুখর করিয়া তুলিতেছিল। নৌকা গঙ্গার পূর্বতটি ঘেঁসিয়া যাইতেছিল। গঙ্গার সে দিকে তৃণাচ্ছাদিত সেই বিস্তৃত প্ৰান্তর। যুবক দেখিল, সেইখানে তাঁটের উপর দাড়াইয়া এক শুভ্ৰবসনাবৃতা নারীমূৰ্ত্তি। নাসাগ্র অবধি লন্বিত অবগুণ্ঠনে তাহার মুখমণ্ডল আবৃত। সেই সুন্দর মুখমণ্ডলের যেটুকু দেখা যাইতেছিল, তাহাতেই অপরিসীম সৌন্দৰ্য্যের বেশ একুটি, আভাস হৃদয়ের মধ্যে অনুভূত হইতেছিল। যুবক ভাবিয়া পাইল না, কে এই শুক্ল বসনা সুন্দরী, ভয়হীনা ? এত রাত্রে এমন নির্জনে, এই জন • মানবশূন্য প্রদেশে ? তাহার পশ্চাতে দূরব্যাপী প্রান্তর ধূ-ধূ করিতেছে। যুবক ভাবিল, মাথার উপরে অসীম নীলিমার বুকে তরল অনিবিড় শ্বেতাম্বুদ-আবৃত ष्टिकं ब्रुझे दिक्ल এই অসীম প্ৰান্তর-প্ৰান্তে নিশ্চলভাবে দণ্ডায়মানা শুক্লবসনা নবীনা একটি অবিকল প্ৰতিচ্ছবি ? না, ক্ষেপণী সঞ্চালনের শব্দে সেই প্ৰান্তরের সুকোমল তৃণশয্যা হইতে ঘুমন্ত জ্যোৎস্না জাগিয়ু উঠিয়া এখানে মূৰ্ত্তিমতী ? ভাবিয়া যুৱক ঠিক করিতে পারিল না ; মনের ভিতর বড় গোলমাল বাধিয়া গেল। যুবক নির্নিমেষ