পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় &N9 Sb” ግ ̈ করিয়া বেড়ায়, অনেক রকম কৌশলে ভুলইয়া লইয়া গিয়া দস্যপতির করতলগত করিয়া দেয়। প্রেতিনী বা অপদেবতার ভয় যুবকের হৃদয়ে মুহূৰ্ত্তের জন্য স্থান পাইল না। তিনি মাঝির এই কুসংস্কারপূর্ণ যুক্তি যুক্তিযুক্ত বোধ করিতে পারিলেন না; তিনি শিক্ষিত্ব, সাহসী, বলিষ্ঠ বুদ্ধিমান, যৌবনোঞ্চ । “তিনি সে অপরিচিত সুন্দরীকে নৌকায় উঠাইয়া লইয়া নৌকা ফিরাইতে বলিলেন। মাঝি অনিচ্ছায় নৌকা ফিরাইয়া লইয়া চলিল। তাহার মনে মনে বড় ভয় হইতে লাগিল, না। জানি कि একটা ভয়ানক কাণ্ডই ঘটবে ; হয় ত নৌকা বানচাল হইয়া যাইবে, নৌকা ডুবিবে, নৌকার সঙ্গে তাহাকে যে প্রেতিনী ডুবাইয়া মারিবে: না, এমনও কি হইতে পারে ? দিম আটকাইয়া প্ৰাণটা যাইবে ? তখন তাহার গৃহিণীর কথা মনে পড়িল, সন্তান-সন্ততির কথা মনে পড়িল ; এইরূপ নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে তাহার। প্ৰাণটা আকুল হইয়া উঠিল, এবং শরাহত পক্ষীটির ন্যায় রুদ্ধপন্থর পিঞ্জরের ভিতরে ছটফট করিতে লাগিল । তাহার পর যখন স্রোত-মুখে নৌকা দ্রুত চালিত হইয়া অনতিবিলম্বে প্ৰান্তর পার হইয়া, সেই আম বাগানের ধারে গিয়া উপস্তিত হইয়া, কিনারায় লাগিল, যুবক সেই রমণীকে লইয়া তটে অবতরণ করিলেন। তখন সুদক্ষ মাঝি একটা আশ্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া বাঁচিল। , একটা ফাঁড়া কাটিয়া গেল ভাবিয়া ঈশ্বরকে মনে মনে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে লাগিল ।” যুবক, যাইবার সময় বলিয়া গেলেন, যতক্ষণ না তিনি ফিরিয়া আসেন, নৌকা যেন সেইখানে বঁাধিয়া রাখা হয়। যুবকের যে প্রত্যাগমন ঘটবে না, মাঝি সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ।