পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਲੈ | swa চত্রিত হইয়া একখানি উন্মুক্ত আলেখ্যাবৎ অতি সুন্দর দেখাইতেছিল। অত্যুজ্জল চন্দ্ৰিমা, বন্যকুসুমের গন্ধ, মৃদুমন্দ মিন্ধ মলয়ানিল, এবং মধুৰ কণ্ঠ- বনবিহগের স্বরলহরী, সেই চিত্রাঙ্কিতবৎ বনস্থলী প্রতিক্ষণে । উজীবিত করিয়া তুলিতেছিল। চুম্বকের সহিত একখণ্ড লৌহের যে সম্পর্ক, আর নারী-সৌন্দর্ঘ্যের সহিত একটা পুরুষ-হৃদয়েরও ঠিক সেই সম্পর্ক। চুম্বকের ন্যায় নারীসৌন্দৰ্য্যের এমন একটা অব্যৰ্থ আকর্ষণ শক্তি আছে, যাহাতে পুরুষহৃদয় অতি সহজে ও অজ্ঞাতভাবে, আকৃষ্ট হইতে থাকে। যুবক এতদূর পথ সেই আকর্ষণেই কথাটি না কহিয়া মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায়, যন্ত্রচালিতের ন্যায় অতিক্ৰম করিতেছিল। সেই আকর্ষণেই আমবাগানের অতি দীর্ঘপথ ছাড়াইয়াবনে পড়িল এবং সেই আকর্ষণে সৰ্পসস্কুল ভীতিপূর্ণ বনের মধ্যে প্ৰবেশ করিতে কুষ্ঠিত হইল না, সেইরূপ নীরবে। তাহার পর যখন সেই বনের বিপুল গভীরতার মধ্যে, একান্ত বিজনতার মধ্যে ” পড়িয়া আঁর পথ পাইলেন না, তখন স্বপ্নশেষে আকস্মিক চেতনার ন্যায়, অকস্মাৎ বিদ্যুদীপ্তির ন্যায় একটা শঙ্কা "আসিয়া যুবকের হৃদয়ে আঘাত । করিল। তিনি তখন সেই অপরিচিতাকে বলিলেন, “আমাকে আর কতদূর যাইতে হইবে ? এ গভীর বনের ভিতর আমাকে আনিলেন কেন? নিকটে যে কোন লোকালয় আছে, এমন ত বোধ হয় না। এ বন যে, কিছুতেই শেষ না। শীঘ্ৰ যে শেষ হইবে এমনও বোধ হয় না। আমি কোন দিকে যাইতেছি, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না, আমার দিকভ্ৰম . হইয়াছে। আপনি আমাকে এখন কোথায় লইয়া যাইতেছেন, এ কোন দিকে যাইতেছি, পূৰ্ব, পশ্চিম, উত্তর না। দক্ষিণে ?” অগ্ৰগামিনী অনুচ্চস্বরে বলিল, “এখন দক্ষিণ মুখে আমরা যাইতেছি আর বেশী দূর নাই, দক্ষিণদিকে আর কিছুদূর গিয়া পুৰ্ব্ব