পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । সুন্দরীর মনের ভাব। দেবেন্দ্রবিজয়কে সঙ্গে লইয়া রমণী সেই সুদীর্ঘ বারান্দার শেষ সীমা পৰ্য্যন্ত পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইল। সেখানে একটি ঘর চাবিবন্ধ ছিল । রমণীর নিকটে চাবি থাকায়, তখনই খুলিয়া ফেলিল ; উভয়ে সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিল ; এবং রমণী ভিতর হইতে দ্বার আর্গালাবদ্ধ করিয়া দিল। সেখানে উপরে উঠিবার একটা কাঠের সিড়ি ছিল, সেই সিড়ি দিয়া উভুয়ে উপরে উঠলেন। সেখানে মুক্ত প্রকৃতির অপূর্ব শোভা। জ্যোৎস্নালোকপরিপূর্ণ, উন্মুক্ত-ছাদ অনেক দূর অবধি বিস্তৃত। সেখানে আসিয়া দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “আমাকে কোথায় লইয়া য়াইতেছেন ?” রমণী মৃদু হাসিয়া, দেবেন্দ্রবিজয়ের প্রতি একটা অত্যন্ত তীব্র কটাক্ষপাত করিয়া বলিল, “আপনি এত ভীত হইতেছেন কেন ? আমি • কি আপনাকে খাইয়া ফেলিব ? আমি স্ত্রীলোক, আপনি পুরুষ-আপनांद्र cन लद्र नाथे, अiईन ।।” দেবেন্দ্রবিজয় তাহার প্রশ্নের এইরূপ অনাকাজিফত ও অপুৰ্ব্ব সদুত্তর পাইয়া নিরুত্তরে রমণীর সহিত চলিতে লাগিল্পেন। তাহার মস্তিষ্ক তখন অসম্ভবক্সপে বিচলিত হইয়া উঠিয়াছিল, কাজেই কিছুই ঠিক করিয়া উঠিতে পারিতেছিলেন না। এ সকলই যেন একটা অভাবনীয় ও অনপেক্ষিত স্বপ্নের মতন। তঁহার মনোহয় বোধ হইতেছিল। হুইবারই কথা। সেই নির্জন নদীতীরে, প্রস্ফুটচন্দ্রালোকে, মধুর।