পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । ভূগর্ভে। এখানে ফুলসাহেব ও জুমেলিয়ার সম্বন্ধে দুই একটি কথা বলা বোধ কুরি অসঙ্গত হইবে না । • যখন জুমেলিয়াকে বাহির করিবার জন্য অরিন্দম, দেবেন্দ্রবিজয় ও সীরাজউদ্দীন তিনজনে এঘর ওঘর করিয়া ঘুরিতেছিলেন, তখন এক পাতাল-পুরীর মধ্যে জুমেলিয়া বিষগ্ৰমুখে দাড়াইয়া, নতনেত্ৰে ফুলসাহেবের মূচ্ছিা বসন্ন অঢ়েতন দেহ অত্যন্ত মনোযোগের সহিত পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছিল । সেই পাতাল-পুরীর একপাশে একটি ছোট দীপ তথাকার গাঢ়তর অন্ধকারের মধ্যে অত্যন্ত নিন্তেজভাবে জলিতেছিল। এবং তাহার ক্ষীণ শিখাটা প্রচুর অন্ধকারের মধ্যে সিন্দুরের ন্যায়। ঘার আরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। সেই পাতাল-পুরীর চারিদিক বন্ধ, কান পথে যে তন্মধ্যে প্রবেশ করা যায়, তাহা জুমেলিয়াই জানে । । নামাদের সেটা জানিবার তেমন কোন আবশ্যকতা নাই । . দুই তিনবার জুমেলিয়া শিশি হইতে ঢালিয়া দুই তিন রকমের যধ ফুলসাহেবের মুখে দিল। মুখের দুই পাশ দিয়া ঔষধু গড়াইয়া GCVS পড়িল যখন কিছুতেই কিছু হইল না, তখন জুমেলিয়া একখানি বড় কারের শাণিত ছুরি, বাহির করিল। এবং সেই ছুরিকা দিয়া ফুল- “ হেবের দক্ষিণ হন্তে আঘাত করিল। প্রবলবেগে রক্তধারা বহিতে । እ ዓ