পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

era es ve নিকট যাইব মনে করিয়া, এখানকার একটি মুদীর দোকানে গোঁসাই পাড়ার পা জিজ্ঞাসা কুরিয়া লই। সেখানে আরও অনেক লোক বুসিয়া তাস\খেলিতেছিল, তাহারা আমায় একটা দীর্ঘীর ধার দিয়া যাইতে বলিল। আমি আবার চলিতে আরম্ভ করিলাম। যখন দীর্ঘীর ধার দিয়া যাইতেছি, তখন পশ্চাদিকে কাহার পদশব্দ শুনিতে পাইলাম। আগে রন ছাড়িয়া যখন প্ৰান্তরে পড়ি, তখন একবার গোরাচাঁদকে পথে আমার অনুসরণ করিতে দেখিয়াছিলাম। আমি তখন একটা গাছের আড়ালে লুকাইয়া পড়ি, সে আমাকে দেখিতে পায় নাই, সে আর একদিকে চলিয়া গেল। আমি প্ৰান্তরের মাঝখান দিয়া, সেই ঝড়বৃষ্টি মাথায় করিয়া এই গ্রামে আসিয়া পড়িলাম ; দীর্ঘীর ধারে আসিয়া যে পদশব্দ শুনিয়াঞ্ছিলাম, তাহা তখন গোরাচাদের বলিয়াই বোধ হইয়াছিল বলিয়া আরও ভয় হইল। আমি তখন প্ৰাণপণে ছুটিতে লাগিলাম ; এমন সময় আমার অচল খানায় টান পড়িল, আবার গোর চাঁদের হাতে পড়িলাম ভাবিয়া, আকুল হইয়া কাদিয়া উঠিলাম, মাটিতে পড়িয়া গেলাম, এমন সময় কে আসিয়া আমাকে ধরিয়া তুলিল। বিদ্যুতের আলোকে তঁহাকে চিনিলাম, তিনিই যদুনাথ গোস্বামী, ভরসা। হইল। দেখিলাম, কেহই আমার আচল ধরে নাই, একটা কাঁটাগাছে অচলখানা জড়াইয়া গিয়াছিল, যে পদশব্দ শুনিতে পাইয়াছিলাম, তাহা গোস্বামী মহাশয়েরই। পড়িয়া গিয়া কপালের এক স্থান কাটিয়া গিয়াছিল ; ক্ষত মুখ দিয়া অজস্রধারে রক্ত বহিতে লাগিল। গোস্বামী, মহাশয়কে সমস্ত কথা খুলিয়া বলিলাম, দুই তিন দিনের জন্য আমাকে র্তাহার নিকট লুকাইয়া রাখিবার জন্য অনুনয় করিলাম, তিনি স্বীকৃত হইয়া আমাকে তাহার বাড়ীতে লইয়া চলিলেন। র্তাহার নিকট গুনিলাম, তিনি গোঁসাই পাড়ায় আজ কাল থাকেন না ; সে বাড়ী। তাছার